মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬


৫০ হাজার টাকা পুরস্কার পেলেন সেই রিকশাচালক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিকের আইফোন ফিরিয়ে দিয়ে সবার নজড় কেড়েছেন রিকশাচালক আমিনুল ইসলাম। সেই সাথে সততার বিনিময়ে পেলেন ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার। এই পুরস্কার দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আজ রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে ডিএনসিসির অডিটোরিয়ামে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমিনুল যে সততা দেখিয়েছেন, তা একটি দৃষ্টান্ত। আমিনুলের সততাকে সম্মান জানাতে ও এই ধরনের কাজে অন্যদের উৎসাহিত করতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ৫ আগস্ট রাজধানীর গুলশানে রিকশার গদির ফাঁকে বন্ধ অবস্থায় আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স পান আমিনুল। পরে ৯ আগস্ট পুলিশের মাধ্যমে আইফোনটি তিনি মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেন।

এ ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলে বেশ আলোচনা শুরু হয়। এরপরে আমিনুল ইসলামকে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন ডিএনসিসি মেয়র। যার ফলে সেই পুরস্কারের টাকা রিকশাচালক আমিনুল ইসলামের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুরস্কার পেয়ে বেশ আনন্দিত রিকশাচালক আমিনুল। তিনি বলেন, মোবাইলটি (আইফোন) রিকশায় পেয়ে হাতে নিয়ে দেখি বন্ধ। মোবাইল বন্ধ থাকায় এর মালিককে ফেরত দেবো কীভাবে। খোলা থাকলে মালিক ফোন দিতে পারে। এই চিন্তা করে রিকশা রেখে মোবাইলের চার্জার কিনতে যাই। দোকানে চার্জার কিনতে দিয়ে দেখি চার্জারের দাম ৭০০-৮০০ টাকা। দিনে আমার ইনকাম ৫০০-৬০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে চার্জার কীভাবে কিনবো?

তিনি আরও বলেন, ‘চার্জারের দাম বেশি চাওয়ায় পরে বুদ্ধি করে মোবাইলটি থেকে সিম খুলে আমার নিজের মোবাইলে ঢুকালাম। এর একদিন পর রাত ১১টার দিকে ওই সিমে ফোন আসে। পরদিন বাড্ডা থানায় গিয়ে যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল সেই নম্বরসহ পুলিশের কাছে আইফোন দিয়ে আসি।’

এক প্রশ্নের জবাবে রিকশাচালক বলেন, মোবাইল পাওয়ার পর আমার একটাই উদ্দেশ্য ছিল যার মোবাইল তাকে ফেরত দিয়ে দেবো। মোবাইলটি ফেরত দিয়ে আমার নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে।

জানা গেছে, আমিনুলের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে। স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে নিয়ে থাকেন বাড্ডায় তিনি। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। অভাবের কারণে আমিনুল অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তবে তিনি কষ্ট করে হলেও তার দুই সন্তানকে লেখাপড়া করাতে চান। সন্তানদের নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা। ৮ বছর ধরে গুলশান এলাকায় রিকশা চালান আমিনুল।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ