বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামিন পেল লতিফ সিদ্দিকী মাধবপুর রাজনগরে ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বাধার মুখে ইসলামি ৮ দলের গণমিছিল মিছিল নিয়ে যমুনার পথে যাচ্ছে ৮ ইসলামী দল বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রদল নেতা অস্ত্রসহ গ্রেফতার বরিশাল-৫ আসনে হাতপাখা প্রতীকের সেন্টার কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা ‘আমরা কিছু কাজের পর ঘুমিয়ে পড়ি, খতমে নবুওয়তবিরোধীরা তো ঘুমায় না’ পুঁজিবাজারে পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন মালয়েশিয়া শাখার সৌজন্য সাক্ষাৎ ইসলামি শক্তিকে আরও সচেতন ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: ড. আহমদ আবদুল কাদের

বিশ্বে ক্ষুধায় প্রতিদিন মৃত্যু ১৯ হাজার ৭০০!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিশ্বে প্রতি চার সেকেন্ডে ক্ষুধায় মারা যাচ্ছেন একজন। সে হিসেবে প্রতিদিন ১৯ হাজার ৭০০ জন ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। এ অবস্থায় ‘বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা সংকটের অবসান ঘটাতে’ আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে প্রায় আড়াই শ’ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালসহ পঁচাত্তরটি দেশের ২৩৮টি সংস্থা এ আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জন্য নিউইয়র্কে জড়ো হওয়া বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে এনজিওগুলো।

চিঠিতে বলা হয়, এটি বিস্ময়কর! পৃথিবীর সাড়ে ৩৪ কোটি মানুষ বর্তমানে তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, একবিংশ শতাব্দীতে আর কখনও দুর্ভিক্ষ হবে না বলে বিশ্ব নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ সোমালিয়ায় আরও একবার দুর্ভিক্ষ আসন্ন। বিশ্বজুড়ে ৪৫টি দেশে পাঁচ কোটি মানুষ অনাহারের দ্বারপ্রান্তে। প্রতিদিন ১৯ হাজার ৭০০ জন ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে।

খোলা চিঠির অন্যতম স্বাক্ষরকারী ইয়েমেনের ফ্যামিলি কেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মোহান্না আহমেদ আলী এলজাবালি বলেছেন, এটি ভয়াবহ একটি সংকট। কারণ, ২১ শতকে কৃষি ও ফসল কাটায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। অথচ আমরা এখন দুর্ভিক্ষের কথা বলছি। এটি একটি দেশ বা একটি মহাদেশ সম্পর্কে নয়। ক্ষুধারও মাত্র একটি কারণ থাকে না। এটি সমগ্র মানবতার অবিচার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিক জীবনরক্ষাকারী খাদ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা প্রদানে আমাদের আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা করা উচিত নয়। লোকজন যাতে তাদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব ও নিজেদের এবং পরিবারের জন্য খাদ্য সরবরাহ করতে পারে; আমাদের তা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করে দেওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি।

এনজিওগুলোর মতে, করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের প্রভাব, একই সঙ্গে দারিদ্র্য, সামাজিক অবিচার, লিঙ্গ বৈষম্য, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক সংকট, খাদ্যের দাম বৃদ্ধি সবকিছু মিলে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার সংকটকে ভয়াবহ করেছে।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ