শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ইসলামী বইমেলা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব: পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের আয়োজনে প্রতিবছর মতো এবারও বায়তুল মোকাররাম প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'ইসলামি বইমেলা'। চলছে স্টল তৈরির কাজ। নেয়া হচ্ছে নানা প্রস্তুতি। এ বছরের মেলা উদ্বোধন করা হবে আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ৮ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

জানা যায়, বহু প্রতীক্ষিত এই ইসলামী বইমেলা ১২ রবিউল আউয়াল থেকে শুরু হয়ে চলবে পুরো মাসব্যাপী। প্রতিদিন মেলা শুরু হবে সকাল ১০ থেকে স্টল খোলা থাকবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

গত বছর রবিউল আউয়াল মাসে ইসলামী এই বইমেলাকে কেন্দ্র করে ইসলাম অঙ্গনে বেশ সাড়া পড়েছিল। ব্যাপক পাঠক প্রিয়তায় মেলা ৩ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়ানো হয় ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। শুরুর দিকে খুব বেশি প্রচার প্রচারণা এবং দর্শনার্থীদের উপস্থিতি না থাকলেও শেষ সময়ে বিভিন্ন ইসলামি ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি ও প্রচারণায় বেশ জমে ওঠে মেলাটি। ঢাকা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে মেলায় এসে যোগ দেন বইপ্রেমীরা।

এদিকে, গত বছর ইসলামি বইমেলা নিয়ে পাঠক, প্রকাশক ও দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস দেখে মেলা বিষয়ে ১০টি প্রস্তাবনার কথা জানায় তরুণ লেখকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম।

প্রস্তাবনাগুলো হলো–

১. ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ইসলামি বইমেলা পুরো রবিউল আউয়াল মাসব্যাপী আয়োজন করা।
২. মেলার স্থান-পরিধি আরো সম্প্রসারিত করা।
৩. ইসলামি ধারার যত অভিজাত ও প্রসিদ্ধ প্রকাশনী আছে সবগুলোকে মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া।
৪. মেলা চত্বরে লেখক কর্নার বা লেখক মঞ্চ রাখা।
৫. নতুন প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক ও পাঠ উন্মোচনের জন্য জায়গা রাখা।
৬. শিশুতোষ বইয়ের আলাদা কর্নারের ব্যবস্থা করা
৭. সপ্তাহের অন্তত এক দিন শুধু নারী ও শিশুদের জন্য নির্ধারণ করা। (সেদিন মাহরাম পুরুষদের নিয়ে নারীরা মেলায় আসবেন)।
৮. মেলার প্রচার-প্রচারণায় কর্তৃপক্ষ আরো জোরাল ভূমিকা পালন করা।
৯. মিডিয়া সেলের ব্যবস্থা রাখা।
১০. তথ্য কেন্দ্র রাখা।

বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের প্রস্তাবনাগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখলে এই ইসলামী বইমেলা আরো জমজমাট হয়ে উঠবে এমনটাই আশা করছেন বিশ্লেষকরা।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ