বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আসছেন না পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে পর্যটক হত্যার দায়ভার কি ভারত এড়াতে পারে? আ. লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে : আমিরে মজলিস জর্ডানে নিষিদ্ধ হলো মুসলিম ব্রাদারহুড  নারী সংস্কার কমিশনের ইসলামফোবিয়া নিয়ে জাতীয় সেমিনার ৩০ এপ্রিল ‘জনরায়কে সম্মান দিয়ে মুফতি ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণা করুন’ আস-সুন্নাহয় সাবলম্বী খোকন মিয়া জাকাতদাতা হয়ে উঠতে চান মৌলভীবাজারে মাদরাসায় হামলার ঘটনায় অস্ত্রসহ আটক ৩ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে পূর্ণ সমর্থন কাতার প্রধানমন্ত্রীর, সহায়তার আশ্বাস শয়তানের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ হলেও আ. লীগের সঙ্গে নয়: টুকু

রোজা সামনে রেখে চিনির আমদানি শুল্ক কমছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কয়েক মাস ধরে দেশে চিনির সংকট চলছে। ক্ষেত্রবিশেষে ১২০ টাকা দিয়েও এক কেজি চিনি কিনতে পারেননি ভোক্তা। এখনো সেই সংকট পুরোপুরি কাটেনি। উচ্চ দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি। এদিকে ঘনিয়ে আসছে রমজান। সাধারণত রমজান মাসে অন্য সময়ের তুলনায় চিনির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। তাই রমজানে চিনির চাহিদা মেটাতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে আলাদা করে ডলারের মজুত রাখতে বলা হয়েছে।

সেইসঙ্গে চিনির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমানোর চেষ্টা রয়েছে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে চিনির শুল্ক হার কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করেছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত্র টাস্কফোর্সের পঞ্চম সভায় আমদানি, সরবরাহ পরিস্থিতি ও বাজারমূল্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা হয়। ওই বৈঠকে চিনি আমদানি গত ছয় মাসে প্রায় ২ লাখ টন কম হয়েছে। মূলত ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারার কারণে এই ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে টাস্কফোর্সের সভায় উঠে আসে। এই পরিস্থিতিতে আসছে রোজায় চিনির দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক হার যৌক্তিকীকরণের জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে চিনির আমদানি এবং দাম স্থিতিশীল থাকে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে চিনির চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন। চিনির প্রায় পুরো বাজার আমদানিনির্ভর। স্থানীয়ভাবে আঁখ থেকে চিনি আসে ৩০ হাজার টন। আর চিনির চাহিদা মেটাতে অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয় ২০ থেকে ২২ লাখ টন। এই চিনি পরিশোধনের মাধ্যমে দেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান চিনি বাজারজাত করে থাকে।

তবে অপরিশোধিত চিনি পরিশোধন করার সক্ষমতা রয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টন। এসব কারণে রোজার দুই মাস আগেই চিনির বাজার-ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই মধ্যে এলসি জটিলতা কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিত্যপণ্যের আমদানির জন্য ডলার সংরক্ষণ করে এলসি খোলার নির্দেশ দিয়েছে। আর শুল্ক কমানোর জন্য এনবিআরে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। টাস্কফোর্স কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ