শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ ।। ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ১০ জিলহজ ১৪৪৬


‘ঈদে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের পরিবারেও যেন হাসি ফোটে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

‘ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন যেন ঈদের আগেই দেওয়া হয় তেমনি ঈদের দিন তাদের ঘরে গোশত রান্না হয়েছে কি না, সে খোঁজ রাখাটাও আমাদের সামাজিক দায়িত্ব।’ এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদার।

সোমবার (২ জুন) রাতে আওয়ার ইসলামের বিশেষ আয়োজন ‘সমকালীন আলাপ’-এ ‘ইমাম-খতিবদের সম্মানি বনাম সামাজিক বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন। 

আওয়ার ইসলাম সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উপস্থাপনায় আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদার এবং জাতীয় ইমাম সমাজের মহাসচিব মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন। 

অনুষ্ঠানে আলোচকরা তুলে ধরেন দেশের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আর্থসামাজিক অবস্থান, সম্মানি এবং ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বর্তমান বাস্তবতা। বিশেষ করে ঈদের সময় ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রতি যে বৈষম্য করা হয় সেটা ফুটে উঠে তাদের আলোচনায়। 

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে মুফতি শামীম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের সমাজে ইমাম-মুয়াজ্জিন সাহেবদের কাজকে আমরা যেভাবে ব্যবহার করি, তা যদি বিবেচনা করি, তাহলে তাদের প্রাপ্য সম্মান ও সম্মানি অনেকাংশেই অবমূল্যায়িত। ঈদের দিন আপনারা যে গরু কুরবানি করেন, তার মূল্য পাঁচ লাখ টাকা হলেও, সেই গরু জবাইয়ের জন্য যিনি দাঁড়ান, তাকে আপনি হয়তো মাত্র ৫০ বা ১০০ টাকা হাদিয়া দেন—এটা কোনোভাবেই কৃতজ্ঞতা হতে পারে না।'

শামীম মজুমদার বলেন, ‘ঈদের সময় যেন তাদের পরিবারে হাসি ফোটে, তা নিশ্চিত করাও একটি ইবাদতের অংশ।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় ইমাম সমাজের মহাসচিব মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘দুই ঈদে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য বোনাস, নিত্যভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আগেভাগেই নিশ্চিত করা উচিত। তাদেরও যেন কুরবানির ওয়াজিব দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা না থাকে, সে দিকেও খেয়াল রাখা আমাদের দায়িত্ব।’

আলোচকরা বলেন, বর্তমান বাজারের বাস্তবতায় ইমাম-মুয়াজ্জিনদের যে সম্মানি দেওয়া হয় সেটা কিছুই না। বিষয়টি প্রথমত মসজিদ কমিটিকে বিবেচনা করা উচিত। এলাকাবাসীরও এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া দরকার। সর্বোপরি সরকারের উচিত সমাজের অবহেলিত ইমাম-মুয়াজ্জিনদের পাশে দাঁড়ানো। প্রতি মাসে ভাতা না দিলেও অন্তত সরকার চাইলে ঈদসহ বিভিন্ন উপলক্ষে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের পাশে দাঁড়াতে পারে। পৃথিবীর অনেক দেশে এই নজির আছে। এমনকি পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সরকার নিয়মিত ভাতা দিয়ে থাকে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ