নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাবা দিবস—নিঃশর্ত ভালোবাসা, দায়িত্ব আর ত্যাগের প্রতীক সেই মানুষটির প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন, যিনি পরিবারকে ছায়ার মতো আগলে রাখেন, কিন্তু থাকেন অনেকটা নীরব ব্যাকগ্রাউন্ডে।
প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্ব বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটির সূচনা হয় ১৯১০ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সোনোরা স্মার্ট ডোড নামের এক নারী তার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রথমবারের মতো ‘ফাদার্স ডে’ উদযাপন করেন। তারই পথ ধরে এটি এখন বিশ্বের বহু দেশে পালিত একটি বিশেষ দিবসে রূপ নিয়েছে।
বিশেষ করে বর্তমান সময়ের ব্যস্ত জীবনে বাবাদের অবদান প্রায়ই অন্তরালে থেকে যায়। অথচ বাবা হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যিনি নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে সন্তানের হাসি-আনন্দ নিশ্চিত করতে নিরন্তর চেষ্টা করে যান। সন্তানের প্রথম শিক্ষক, অভিভাবক, সাহস ও আদর্শের উৎস হিসেবে বাবার ভূমিকা অতুলনীয়।
সমাজ ও পরিবারে বাবার ভূমিকা
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সন্তানের মানসিক দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস ও নৈতিকতা গঠনে বাবার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুস্থ ও স্থিতিশীল পারিবারিক কাঠামো তৈরিতে যেমন মায়ের ভূমিকা অগ্রগণ্য, তেমনি বাবাও হন ছায়াসঙ্গী ও রক্ষণাবেক্ষণের মহান দৃষ্টান্ত।
ইসলাম কী বলে?
ইসলামে পিতা-মাতার অধিকার অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ বলেন:
"তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করো না এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করো…" (সূরা নিসা: ৩৬)।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
“পিতা জান্নাতের দরজাগুলোর মধ্যে একটি দরজা। তুমি চাইলে তা নষ্ট করতে পারো, চাইলে তা রক্ষা করতে পারো।” – (তিরমিজি)
বিশ্ব বাবা দিবসে আমাদের প্রত্যাশা—সন্তানরা যেন তাদের জীবনের এই মহান অভিভাবকের প্রতি দায়িত্ব ও শ্রদ্ধাবোধ জাগিয়ে তোলেন। শুধু একটি দিন নয়, প্রতিদিনই হোক বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের উপলক্ষ।
এনএইচ/