সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করুন: সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মরক্কোতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ দাওয়াত ও তাবলিগের নীরব বিপ্লব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য-কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া গ্রেপ্তার এড়াতে বাস পাল্টায়, গন্ধে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ধরা খেল তরুণী দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সত্তর হাজার কালেমা পড়লে কি মাগফিরাত পাওয়া যায়? ঢাবির হল রিডিংরুমে বসছে এসি, সংস্কার হবে ক্যান্টিনও: ডাকসু জিএস ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মাদরাসা ছাত্রী, অভিযুক্ত জামায়াতকর্মী গ্রেপ্তার. ইসলামকে একটি বার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ শায়খে চরমোনাইয়ের

স্বামীর মৃত্যুর খবরে মারা গেলেন স্ত্রীও

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

দীর্ঘদিনের ভালবাসার সাজানো-গোছানো সংসারের অবসান ঘটিয়ে একই দিনে মাত্র ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে স্বামীর মৃত্যুর পর মারা গেলেন স্ত্রীও। উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের তালুক হরিদাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার সকালে খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নওশা আকন্দ দম্পতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়ের বাড়ি সদর উপজেলার হাট লক্ষ্মীপুর গ্রামে বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু হয় নজির হোসেনের। এরপর স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার স্ত্রী রশিদা বেগমের (৬৫)।

নজির হোসেন একই গ্রামের মৃত নসিম উদ্দিন আকন্দের ছেলে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য ছিলেন। অবসরের পর নজির হোসেন বাড়িতেই কৃষি পেশায় নিয়োজিত ছিলেন । ৫ ছেলে, ৩ মেয়ে ও নাতি-নাতনি নিয়ে ছিল তার সংসারে।

তাদের এমন মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। শত শত মানুষ মৃত দম্পতিকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন ওই বাড়িতে।

মরহুম নজির হোসেন আকন্দের নাতি হাফিজুর রহমান বলেন, আমার দাদা বেশ কিছুদিন ধরে একাধিক জটিল রোগে ভুগছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারণেও তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। আমরা তাকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার কাছে আমাদের হার মানতে হলো। এক সপ্তাহ আগে তিনি মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান, যেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি বলেন, দাদা ও দাদির মধ্যে গভীর ভালোবাসার এক অনন্য বন্ধন ছিল। স্বামীর মৃত্যু সংবাদ দাদি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। এই শোক সইতে না পেরে তিনি একই দিনে মাত্র ৪ ঘণ্টা পর দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। তাদের এই বিদায় আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

সাদুল্যাপুর খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নওশা আকন্দ বলেন, স্বামী নজির হোসেনের মৃত্যুর ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে স্ত্রীরও মৃত্যু হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর এমন মৃত্যু দুঃখজনক।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ