শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মসজিদে নববীতে এক দিনে বিতরণ ১৮৩ টন জমজমের পানি কলকাতায় বাংলাদেশি ইলিশের দাম চড়া, আগ্রহ হারাচ্ছে ক্রেতারা মাদরাসাতুল কুরআনে ‍দুই দিনব্যাপী সিরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত আগামী সরকার জুলাই আত্মত্যাগকে ধারণ করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  ভারত থেকে দেশবিরোধী অপকৌশলে লিপ্ত শেখ হাসিনা: এ টি এম আজহার ৩৭ বছরের ইমামকে রাজকীয় বিদায় ইমাম-খতিবদের হয়রানি বন্ধে হেফাজতের ‘বিশেষ সেল’ খোলার আহ্বান এদেশের সব ভালো কাজেই বিএনপির অবদান রয়েছে: মির্জা ফখরুল সংকট এড়িয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান সালাহউদ্দিনের জামায়াতের আমির হামযার বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ মুহসীন হল শিক্ষার্থীদের

মানিকগঞ্জে ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের লোকজন


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা, যমুনা, কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতী, গাজীখালিসহ ১৪টি নদী দ্বারা বেষ্টিত মানিকগঞ্জ জেলা। সারা বছর এসব অঞ্চলের নদীপাড়ের মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেও বর্ষার শুরু ও শেষের দিকে নদিভাঙন আতঙ্কে দিন কাটে।  প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙন শুরু হলে নদীপাড়ের লোকজন ঘরবাড়ি বসতভিটা, ফসলি জমি হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। এ বছর বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে। জরুরিভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে অনেক ফসলি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। 

সরেজমিনে দেখা যায় , দৌলতপুর উপজেলার চর কালিয়াপুর, বাঘুটিয়া, ভারাঙ্গাসহ অনেক এলাকা নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। সাটুরিয়া উপজেলার সনকা, পশ্চিম চর তিল্লী, আয়নাপুর, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বালিরটেক, চর বালিয়া বিলসহ বিভিন্ন স্থানে নদীর পানি বাড়লেই ভাঙন বেড়ে যায়। এছাড়া, হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর, কাঞ্চনপুর, সেলিমপুর ও সুতালড়ি নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। 

দৌলতপুরের বাঘুটিয়া এলাকার মোতাহার হোসেন বলেন, বৈশাখ মাস থেকেই আমরা নদীপারের মানুষ নদীভাঙনের আশঙ্কায় থাকি। আগুনে পুড়লেও কিছু থাকে, কিন্তু নদীতে ভাঙরে কিছুুই থাকে না। আমাদের বাড়ি দুইবার নদীতে বিলীন হয়েছে। একসময় পূর্বপুরুষের অনেক জমি ছিল। তারা সম্মানী লোক ছিলেন। কিন্তু বাড়ি ভাঙনের পর লোকজন তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। এখনই যদি নদী নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে কাজে লাগবে। পরে নদীতে স্রোত বেশি হলে তখন কোনো কাজেই সুফল আসে না।  

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে নদীপাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর ভাঙনরোধে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে। এছাড়া, নদীভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক প্রকল্প গ্রহণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চলমান কাজ সমাপ্ত ও প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো অনুমোদিত হলে নদীভাঙনের হাত থেকে মানিকগঞ্জবাসী রক্ষা পাবে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ