বুধবার, ২৮ মে ২০২৫ ।। ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ১ জিলহজ ১৪৪৬


মহেশখালীতে ১৩ বছর পর পুলিশ হত্যা মামলার আসামি অস্ত্রসহ আটক 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মিজবাহ উদ্দীন আরজু

দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে ১৩ বছর আগে অভিযানের সময় পরেশ কারবারি নামের এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যার মামলায় নাসির উদ্দিন (৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। নাসির উদ্দিন উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কাঁঠালতলী পাড়া এলাকার জনৈক গোলাম কুদ্দুস এর সন্তান।

সোমবার (২৬ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কাঁঠালতলির নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক লাইটার গান উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা করেছেন।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রতুল কুমার শীল জানান- নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা ও একটি অস্ত্রসহ পাঁচটি মামলা হয়েছে এসআই পরেশ কারবারির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নাসির পলাতক ছিলেন। 

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল হক জানান, নাসির উদ্দিন রাতে গোপনে তার কাঁঠালতলীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, এ তথ্যের সূত্র ধরে সোমবার রাতে বাড়িতে অবস্থান করছে মর্মে খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক লাইটার গান উদ্ধার হয়। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৫টি মামলা রয়েছে, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে আরও একটি মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছেন মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অচিন্ত্য কুমার দে। 

মহেশখালী থানা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজিরপাড়া ও কাঁঠালতলী পাড়া এলাকায় দুইটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় মহেশখালী থানার তৎকালীন এসআই পরেশ কারবারির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় খুব কাছ থেকে একাধিক রাউন্ড গুলি করে এসআই পরেশ কারবারি (৫৫)কে হত্যা করা হয়। সে সময় এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য বাদি হয়ে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার চূড়ান্ত অভিযোগপত্রে নাছির উদ্দিনকে আসামি করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা পরেশ কারবারি হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজন পলাতক রয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ