বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির মধ্যে লুকিয়ে থাকা মোনাফেক, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের চিহ্নিত করে রাখুন। আওয়ামী লীগ বিগত ১৭ বছরের যে কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে, দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা রয়ের এজেন্টরা সেই ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে, তারা দুষ্কৃতিকারী তাদেরও এই মাটিতে বিচার হবে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ও মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নে বিএনপির যৌথ উদ্যোগে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, পৃথিবীতে সরকার পালানোর ইতিহাস অনেক। তবে বাংলাদেশের মতো এরকমের কোন নজির নেই। সরকার প্রধান পালানোর সাথে সাথে স্পিকার পালিয়েছে, ৩০০ এমপি পালিয়েছে, এমনকি মসজিদের ইমাম পালিয়েছে। ভারত পালিয়ে যাওয়ার পরে ভারত সরকার তাদের কলকাতায় একটি অফিস দিয়েছে।
সেখানে বসে তারা বাংলাদেশেকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ১২৪ ক্যু করার চেষ্টা করেছে। তারা আনসারের মাধ্যমে ক্যু করার চেষ্টা করেছে, পুলিশের মাধ্যমে করেছে, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে করেছে—কিন্তু সফল হয়নি।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
সেখানে বসে এমন কোন প্রস্তাব নেই যে দেওয়া হয়নি। সেখানে বসে সিনিয়র নেতাদের মন্ত্রী-এমপি এমনকি রাষ্ট্রদূত হওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু একজন নেতাকর্মীকেও তারা নিতে পারেনি। আগামী ১০০ বছরেও তারা বিএনপির কিছুই করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় অনেক বিএনপির নেতারা ফ্যাসিসদের সাথে ভারত গিয়েছে।
তাদের আসতে কোন বাধা নেই। তবে তাদেরকে গো-মূত্র খাইয়ে পরিশুদ্ধ করা হবে। বিএনপিতে ৩০০ আসনে ১৮০০ প্রার্থী রয়েছে। বিএনপি প্রার্থী বাছাইয়ে কখনো ভুল করেনি, আগামীতেও ভুল করবে না।
কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সহকারি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের সাবেক ভিপি জাফর ইমাম শিকদার, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বাইজিদ আহমেদ মাকসুদ পান্না, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বসার মোখলেচ, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুর রহিম চান প্রমুখ।
এসএকে/