রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে বেফাকের একাত্মতায় পীর সাহেব মধুপুরের অভিনন্দন ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরগিরির দায়ে জাতিসংঘের সাত কর্মীকে বন্দি হুথির ইসকন নিষিদ্ধের দাবি মুফতী নিজাম উদ্দিন আল আদনানের বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ঢাকা মহানগর কমিটি গঠিত নভেম্বরের মধ্যে গণভোটে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে: ইবনে শাইখুল হাদিস ৫ দফা দাবিতে বিভাগীয় শহরে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মজলিসে শুরার অধিবেশনে ৯ প্রস্তাব ক্ষমতায় গেলে বিএনপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করবে বেফাক নেতৃবৃন্দের আহ্বান ও একাত্মতা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের ৮ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত

স্বাস্থ্যের যেসব ক্ষতি করে শব্দদূষণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
প্রতীকী ছবি

।। বিন ইয়ামিন ।।

যে শব্দ মানুষের শ্রুতিসীমা অতিক্রম করে, তাকেই শব্দদূষণ বলে। যানজট ও কলকারখানা থেকে দূষণ সৃষ্টিকারী এরকম তীব্র শব্দের উৎপত্তি হয়। শব্দদূষণের কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, মানসিক চাপ বাড়ানো, অমনোযোগী ও অবসাদগ্রস্তসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় শব্দের কারণে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাভাবিক কার্যকলাপ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শব্দদূষণের কারণে দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, টিন্নিটাস, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাতসহ অন্যান্য ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে।

১২০ ডেসিবলের বেশি শব্দের মাত্রা হলেই মানসিকভাবে অস্থির হতে পারে যে কেউ। শ্রবণশক্তি কমে          যাওয়া বা কানের ক্ষতি হতে পারে। কানের লোমগুলোর কোষ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে, কানে কম শোনার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ক্রমশ ভালো করে শব্দ বোঝার শক্তি কমে আসে।

অবাঞ্ছিত বা অত্যধিক তীব্র শব্দ শোনার ফলে, দেহের ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল হয়ে পড়ে। সেখান থেকেই মাথা ঘোরা ও হৃদরোগের মতো অসুখের ঝুঁকিও বাড়ে। শব্দদূষণের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি, বন্যপ্রাণী এবং পরিবেশগত মানের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে সক্ষম।

 

উপরোক্ত ক্ষতিসমূহ থেকে বেঁচে থাকতে পরামর্শ

বিশেষ করে- যাদের বড় রাস্তার পাশে বাড়ি, তারা যদি শব্দের কারণে রাতে ঘুমাতে না পারেন, তাদেরকে কানে তুলো বা শব্দ না শোনার জন্য বিশেষ ধরনের ইয়ার প্লাগ পাওয়া যায়, সেটা লাগিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার না করতে, গাড়ি চালকদের মাঝে গণ-সচেতনতা গড়ে তোলা ।

সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ঐক্যবদ্ধ কর্ম-প্রচেষ্টায় শব্দদূষণকে নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে আনা।

আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর ও সজীব বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলে, পরবর্তী প্রজন্মকে সুন্দর ভুবন উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে আসুন।

বিনু/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ