শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ ।। ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ১১ জিলহজ ১৪৪৬


কোরবানির মাংস বণ্টনের নববী আদর্শ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

কোরবানি—ইসলামের এক মহান ইবাদত, যার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে নিজের প্রিয় বস্তু ত্যাগ করে। এটি শুধু পশু জবাই নয়, বরং আত্মত্যাগ, আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও আনুগত্যের এক অনন্য নিদর্শন।

ঈদুল আজহা মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এই দিনে আল্লাহর নির্দেশে কোরবানি করা হয়, যা আদম (আ.) থেকে শুরু করে সব নবীর যুগেই প্রমাণিত। আল্লাহ বলেন,
"তোমার প্রভুর উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ো ও কোরবানি করো।" (সুরা কাওসার: ২)
আরেক আয়াতে এসেছে—
"আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও মৃত্যু।" (সুরা আন'আম: ১৬২)

কোরবানির পশুর গোশত বণ্টনেও রয়েছে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা। হাদিসে এসেছে—
"নবী করিম ﷺ কোরবানির গোশত তিনভাগে ভাগ করতেন—একভাগ নিজের পরিবারকে, একভাগ আত্মীয়-প্রতিবেশীদের এবং বাকি একভাগ গরিব-মিসকিনদের জন্য বরাদ্দ করতেন।" (ইবনে আব্বাস রা.)

ইবনে মাসঊদ (রা.)-এর মতে, সাহাবিরাও এই বণ্টনরীতি মেনে চলতেন। এতে কোরবানির মূল শিক্ষা—ভ্রাতৃত্ব, উদারতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ প্রতিফলিত হয়।

গোশত পুরোপুরি নিজে রেখে দেওয়া বা আত্মীয়-গরিবদের মধ্যে বিতরণ না করা কৃপণতার শামিল। আল্লাহ বলেন—
"তাদের গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, বরং তাঁর কাছে পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।" (সুরা হজ: ৩৭)

সুতরাং, কোরবানির মাধ্যমে আমরা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করি না, বরং সমাজে সহমর্মিতা ও ইসলামী মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিই। কোরবানি যেন আমাদের অন্তরকে অহংকারমুক্ত করে তোলে এবং আল্লাহর পথে আরও নত ও শ্রদ্ধাশীল করে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ