বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির হোক, বাবরের বংশধরের চাওয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর প্রিন্স হাবিবুদ্দিন তুসি। রবিবার বাবরি মসজিদ ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। বাবরি মসজিদের জায়গায় অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দিরই দেখতে চান বাবরের এই বংশধর।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট যদি বাবরের বংশধর হিসেবে তাকে স্বীকৃতি দেয়, যদি ওই বিতর্কিত জমির মালিক হিসেবে স্বীকার করে, তবে তিনি তা রাম মন্দিরের জন্যই দান করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। প্রিন্স হাবিবুদ্দিন তুসি জানান, ওই মন্দির তৈরির সময়ে তিনি দিতে চান একটি সোনার ইট।

প্রিন্স হাবিবুদ্দিন তুসি কয়েকমাস আগে রাম মন্দির মামলায় তৈরি হওয়া মধ্যস্থতাকারী কমিটিতে থাকার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। বাবরের বংশধর হিসেবে ওই জমিতে তাঁর অধিকার আছে বলেও জানান।

কিন্তু, ওই জমির মালিক বলে নিজেকে দাবি করলেও তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ জমা দিতে পারেননি। তাই তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তবে এই মামলায় তাঁকে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য যে আবেদন করেছিলেন, তার শুনানি এখনও বাকি।

তিনি বলেন, রাম জন্মভূমি নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিবাদ চলছে। কিন্তু, ওই জমির মালিকানার কাগজপত্র কোনও পক্ষের কাছেই নেই। তাই বাবরের বংশধর হওয়ার সুবাদে আদালতে একবার নিজের কথা জানাতে চাই। ১৫২৯ সালে প্রথম মোঘল সম্রাট বাবর শুধুমাত্র সেনাদের নামাজ পড়ার জন্য বাবরি মসজিদ তৈরি করেছিলেন। অন্য কাউকে নমাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হতো না।

প্রিন্স হাবিবুদ্দিন তুসি বলেন, এখন আদালত যদি আমাকে জমিটা দিয়ে দেয় তাহলে ওটা আমি রাম মন্দির তৈরির জন্য দান করব। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ওই জায়গাটিকে ভগবান রামের জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করেন।

তারা মনে করেন যে বাবরি মসজিদ তৈরির আগে ওখানে রাম মন্দির ছিল। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমি হিন্দুদের অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করি। তাই তাঁদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করবো। এর জন্য প্রতিদিন রামলালার অস্থায়ী মন্দিরে গিয়ে দুবার করে প্রার্থনাও করি।

প্রসঙ্গত, রাম মন্দির ধ্বংস করে অযোধ্যার ওই জমিতে বাবরি মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল বলে মনে করেন রামভক্তরা। তাঁদের এই বিশ্বাসকে মান্যতা দিয়ে ওই ঘটনার জন্য পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষমাও প্রার্থনা করেন হাবিবুদ্দিন তুসি। এর জন্য প্রতীক হিসেবে নিজের মাথায় রামলালার 'চরণ-পাদুকা'ও ধারণ করেন তিনি।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ