বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

অবশেষে বাবার কাছে ক্ষমা চাইলেন জনপ্রিয় বক্তা মাওলানা আ. খালিক শরিয়তপুরী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাইমুম সাদী।।

কিছুক্ষণ আগে মাওলানা আবদুল খালিক শরিয়তপুরীর পিতা জনাব আবদুল জলীল এবং শরিয়তপুরী সহ বসেছিলাম রায়েরবাগে একটি বাসায়। পিতার প্রতি সন্তানের আনুগত্য এবং সন্তানের প্রতি পিতার মায়াভরা চাহনি আবেগাপ্লুত করলো উপস্থিত সবাইকে কিছুক্ষণের জন্য।

বক্তা শরিয়তপুরীর পিতার দুরবস্থার একটি ছবি দুদিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরাফেরা করছিলো। এমতাবস্থায় শরিয়তপুরী পিতাকে নিয়ে আসেন নিজের কাছে এবং যেভাবেই হোক আপন পিতার মন জয় করার চেষ্টা করেন আলহামদুলিল্লাহ।
কথা বলে যতটুকু জেনেছি আভ্যন্তরীণ ভুল বোঝাবুঝি এবং মান অভিমানের কিছু ব্যাপার-স্যাপার ছিলো। এক্ষেত্রে তার মায়ের কিছু ভুমিকা রয়েছে। শরিয়তপুরী নিজেই বললেন, তারপরও আমি তাদের সন্তান। তাদের পায়ের নিচে আমার মাথা এবং এই বলে সকলের সম্মুখেই বাবার কাছে বারবার ক্ষমা চান তিনি।

সিদ্ধান্ত হলো পরবর্তীতে বাবা মায়ের প্রতি মাসের খরচের টাকা নিয়মিত মাসের প্রথম সপ্তাহে দিবেন এবং বাবার কিছু দেনা আছে তা পরিশোধ করবেন৷ শরিয়তপুরী আমাদের সামনেই দেনার টাকা বাবার কাছে দিয়ে দেন। এবং মা বাবার নিজেদের মধ্যকার গন্ডগোল যাই হোক তিনি সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবেননা এমন প্রতিশ্রুতি দেন।

আমি এবং সবার খবর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল গাফফার ভাইয়ের কাছে উনার বাবার ফোন নাম্বার দেওয়া হয় এবং সিদ্ধান্ত হয়, যেকোনো সমস্যায় উনার বাবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। মিডিয়ায় এ ব্যাপারে নিয়ে কথা বলবেননা। পাশাপাশি নেক নিয়তে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরিফ জাব্বার ভাই এ নিয়ে যে পোস্ট করেছেন তাকেও ধন্যবাদ জানানো হয়।
শরিয়তপুরী সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন যাতে আল্লাহ তাকে মা বাবার সঠিকভাবে খেদমত করার তাওফিক দান করেন। যতদিন শরিয়তপুরী মা বাবার খেদমত সঠিকভাবে করবেন আমরাও তার সাথে থাকব।

শেষ সময়ে একটা ছবি তুললাম তার ও তার বাবার। বাবাকে জড়িয়ে ধরে সন্তান আবদুল খালিক শরিয়তপুরী একটু আদর খুজছে মনে হলো।

দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য হচ্ছে বাবার শরীরের সাথে সন্তানের শরীর একাকার করে সময় অতিবাহিত করা। এই সুন্দর মুহুর্তে ক্যামেরাবন্দী হলাম আমরাও।

-কাউসার লাবীব


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ