শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৪ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
হার্ভার্ডের ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন  যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা স্থগিত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ গাজায় কমপক্ষে ৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ‘পরিস্থিতি বিপর্যয়কর’ পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ: ধর্ম মন্ত্রণালয় নিজের অজান্তেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে পেহেলগামে জঙ্গি হামলার ভয়ঙ্কর দৃশ্য জুমার দিন যে আট আমল করবেন পাকিস্তানের ধাওয়ায় ভারতের বিমান বাহিনীর উপপ্রধানের চাকরি গেল আগামীকালের মহাসমাবেশে ট্রাফিক ও গাড়ি পার্কিং নির্দেশনা র-এর নথি ফাঁস! কাশ্মীর হামলায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত

রংপুরে তুলার কারখানায় আগুন, অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রংপুর মহানগরীর বুড়িরহাট বাজারে একটি তুলার কারখানাসহ পাশের চারটি ওষুধের দোকান অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার মালিকের দাবি, এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের ৪০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ী হবিবার রহমান হবির তুলার কারখানার পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। সেখানে ক্রেনের মাধ্যমে নিচ থেকে নির্মাণ সামগ্রী তোলার সময় পাশে থাকা বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে আগুন ধরে যায়। যা তুলার কারখানাসহ আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীসহ দোকান মালিকদের।

বাজারের হোমিও চিকিৎসক আবদুল হাকিম বলেন, ক্রেনটি বিদ্যুতের তারের সঙ্গে লাগলে তাৎক্ষণিক সেখানে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে পাশের তুলার কারখানায় বিকট শব্দ হয়ে ধোঁয়া উঠতে থাকে। পরে সেখানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। আমরা উপায় না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিই। এরপর পাঁচটি ইউনিট এসে প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

কারখানার মালিকের ছেলে মাসুদ বলেন, কারখানাটিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালপত্র ছিল। সবকিছু পুড়ে গেছে। আমরা এসে দেখি, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নেভাচ্ছেন। এখন ছাই ছাড়া আর কিছুই দেখতেছি না। কীভাবে কী থেকে কী হয়ে গেল কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। আগুনের ধরন দেখে পাশে রংপুর সদর ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা নেওয়া হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কারখানায় কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখন বলা সম্ভব নয়। অন্যদিকে কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটাও তদন্তে পরবর্তীতে জানা যাবে।

রংপুর মহানগর পুলিশের পশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাজান বলেন, আমরা ওই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগে উৎসুক জনতাকে দূরে সরিয়ে নিয়েছি। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা থেকে কেউ কোনো মালামাল নিয়ে যেতে না পারে।

এমএন/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ