জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’কে ঘিরে গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আজ ( ১৮ জুলাই ) শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৪৫ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় সদর থানায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জন আটক আছেন।
ওসি আরও জানান, ‘গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের খাটিয়াগড় চরপাড়া এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহমদ বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওই মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হবে।’
আটকের ২৪ ঘণ্টা পার হলেও আদালতে না তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, এ বিষয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে তোলা হবে। পাঁচজন নিহত ও সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো মামলা না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, উপর মহলে সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গত বুধবার এনসিপির পদযাত্রাকে ঘিরে দিনভর গোপালগঞ্জে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলায় অংশ নেন। তাঁদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ওই রাতেই গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করে প্রশাসন। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী গোপালগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, কারফিউয়ের সময় দ্বিতীয় দফায় বাড়িয়ে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং আংশিক শিথিল করে বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে।
এমএম/