শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ।। ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৪ জিলকদ ১৪৪৬


বেগুনের অনেক গুণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

গুণহীন বেগুন?

যার নাই কোনো গুণ, তার নাম বেগুণ! অনেক বাঙালি এই পরিচয়েই বেগুনকে পরিচিত করে তোলেন। এটা বেচারা বেগুনের জন্য অপবাদ বৈ কিছু নয়। বাস্তবিক অর্থে বেগুন গুণহীন নয়, বেগুনেরও অনেক গুণ আছে। তাই ভর্তা ভাজি, ঝোল—সবখানেই বেগুন সমান জনপ্রিয়।  
 তবে সাদা এবং বেগুনি—দুরকম রঙের বেগুনের মধ্যে বেগুনি বা কালো বেগুনের গুণ তুলনামূলকভাবে বেশি। বেগুনের শুধুই গুণ ক্ষতিকর কোনো দিক নেই এমন নয়। অত্যধিক বীজযুক্ত এবং পুরনো গাছের বেগুন খেলে চুলকানি বা চর্মরোগ হতে পারে বা বেড়ে যেতে পারে এমনটাই দাবি চিকিৎসকদের। তাই যাদের এলার্জি বা চুলকানির সমস্যা রয়েছে তাদের বেগুন থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকাই সুখকর হবে।

বেগুনের গুণের পসরা

বেগুন বেশ সুস্বাদু একটি সবজি। বেগুন নিছক ভাজি হিসেবে যেমন জনপ্রিয় তেমনি শুটকি বা মাছ দিয়ে রান্না করা তরকারি কারও কারও কাছে দারুণ পছন্দের। আর বেগুনের ভর্তাতো অনেকেরই জিভে জল নিয়ে আসে।ভোজনরসিকদের প্রিয় এই সবজি খাদ্যগুণ সমৃদ্ধতো বটেই ভিটামিনেরও আধার। বেগুনে একাধারে ভিটামিন এ, বি ও সি রয়েছে। পাশাপাশি বেগুনে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং লবণও কম-বেশি পাওয়া যায়। খনিজে পূর্ণ বেগুনে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদান দুটো দাঁত এবং হাড়ের জন্য খুব উপকারী। বেগুনে থাকা ভিটামিন এ আমাদের চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত বেগুন খেলে ক্যানসারকেও প্রতিরোধ করা যায়। বেগুনের আয়রন শরীরে রক্ত বাড়াতে সহায়তা করে।

বেগুন খেলে কফ দূর হয়। মূত্রবর্ধক হিসেবেও বেগুনের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। বেগুন ক্ষুধা বাড়ায়, সাহায্য করে জ্বর কমাতে।বেগুন পোড়া খেলে মোটা হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন। কারণ বেগুন পোড়া মেদ বৃদ্ধি রোধ করে। তাছাড়া বেগুন পোড়া আমাশা নিরাময়ে বেশ ফলদায়ক।ম্যালেরিয়ার হলে অনেকের লিভার বড় হয়ে যায়। রোজ সকালে কচি বেগুন পুড়িয়ে খালি পেটে একটু গুড় মিশিয়ে খেলে লিভার বড় হবে না। যাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না তারা বেগুন পোড়ার সাথে একটু মধু মিশিয়ে সন্ধ্যাবেলা চেটে চেটে খেলে অনিদ্রা থেকে রক্ষা পাবেন। 

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ