সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ দাবানল


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন লজ দাবানলে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। ৯৬ বছরের পুরোনো স্থাপনাটি ধ্বংসের পাশাপাশি আশপাশের আরও অন্তত ৫০ থেকে ৮০টি অবকাঠামো আগুনে পুড়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস (এনপিএস)।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের নর্থ রিম পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং শত শত পর্যটক ও বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়, দুটি দাবানল ‘ড্রাগন ব্রাভো ফায়ার’ ও ‘হোয়াইট সেজ ফায়ার’ বর্তমানে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের নর্থ রিম ও তার আশপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ড্রাগন ব্রাভো ফায়ার সরাসরি গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন লজ এবং আশপাশের স্থাপনাগুলোকে পুড়িয়ে দিয়েছে।

জানা গেছে, ৪ জুলাই বজ্রপাতের ফলে ড্রাগন ব্রাভো ফায়ারের সূত্রপাত হয়। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই এটি ৫০০ একর (প্রায় ২০০ হেক্টর) এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এই আগুন ঘণ্টায় ৩২ কিমি বেগে ছড়িয়ে পড়ে এবং মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ার গতি ছিল ৬৪ কিমি।

অপর দাবানল হোয়াইট সেজ ফায়ার শুরু হয় ৯ জুলাই এবং ১৩ জুলাই পর্যন্ত এটি ৪০,১৮৬ একর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস জানিয়েছে, দাবানলে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি ঘটেনি এবং সকল বাসিন্দা ও পর্যটক নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন লজ ছিল একটি মৌসুমি হোটেল, যা ১৯২৮ সাল থেকে নর্থ রিমে পর্যটকদের আতিথ্য দিয়ে আসছিল। ১৯৩২ সালে একটি রান্নাঘরের আগুনে আগের লজটি ধ্বংস হয়; পরে ১৯৩৭ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়।

প্রতি বছর মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত খোলা থাকে এই লজ। চলতি বছর এটি ১৫ মে চালু হয়েছিল এবং ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চালু থাকার কথা ছিল। তবে দাবানলে লজের মূল ভবন ও আশপাশের ১২০টি কেবিন এবার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ৫০০ জন ফায়ারফাইটার হোয়াইট সেজ ফায়ার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। আকাশপথেও আগুন ঠেকানো রাসায়নিক স্প্রে করা হচ্ছে। ড্রাগন ব্রাভো ফায়ার নিয়ন্ত্রণেও কার করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তবে পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে চলমান গরম, শুষ্ক বাতাস এবং ঝোড়ো হাওয়া।

উল্লেখ্য, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ প্রাকৃতিক বিস্ময়, যা কোলোরাডো নদী দ্বারা গঠিত। এটি প্রায় ৪৪৬ কিমি দীর্ঘ, ২৯ কিমি প্রস্থ এবং ১.৬ কিমি গভীর এবং পৃথিবীর প্রায় ২ বিলিয়ন বছরের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস এর গঠনে দৃশ্যমান।

এটি জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত। এবং প্রতি বছর কোটি কোটি পর্যটক এই পার্ক ভ্রমণ করেন।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ