শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভোলা কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা ‘জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দিলে কোনো নির্বাচন হবে না’ ‘ইসলামপন্থীরা জুলাই অভ্যুত্থানে শুধু অংশ নেননি, তারা এর চিন্তাও নির্মাণ করেছেন’ ‘কওমি তরুণরা নানা অহেতুক কাজে জীবন খোয়াচ্ছেন’ ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হতে হবে: দুদু দুদক সংস্কারে আইন প্রণয়ন ১-২ মাসের মধ্যে: আসিফ নজরুল দেশের ১১ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস খিদমাহ ব্লাড ব্যাংকের এক দশক উদযাপন কাল, প্রধান অতিথি ধর্ম উপদেষ্টা ভাঙ্গা পৌর শাখায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নতুন কমিটি গঠন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আইনি ভিত্তি দিয়ে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে: খেলাফত মজলিস

‘কওমি তরুণরা নানা অহেতুক কাজে জীবন খোয়াচ্ছেন’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রাচীন ধারার কওমি মাদরাসার গণ্ডিতে বেড়ে উঠেও যেসব তরুণ বাইরের জগতে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন- তাদের একজন মনযূরুল হক। পড়াশোনার গভীরতা ও চিন্তার বিস্তৃতির মাধ্যমে তিনি নিজের একটি অবস্থান করে নিয়েছেন। তার কোনো কোনো চিন্তা নিয়ে আছে বিতর্কও। এজন্য তাকে পেতে হয়েছে ‘কওমি বামপন্থী’ তকমা। তার ভাবনা জানতে এই লেখক-চিন্তকের সঙ্গে কথা বলেছেন- এমদাদুল হক তাসনিম। 

লেখকপত্র: গতানুগতিক কওমি মাদরাসায় পড়াশোনার পরও পাঠের গভীরতা এবং ভিন্ন চিন্তার যোগ্যতা আপনার মধ্যে কীভাবে গড়ে উঠেছে?
মনযূরুল হক: ‘পাঠের গভীরতা’ সত্যিই কি আমার আছে? কী জানি। প্রশ্নটাকে কমপ্লিমেন্ট হিসেবে নিচ্ছি। হ্যাঁ, একটা সময় সর্বভুক পাঠক ছিলাম। যা পেয়েছি, পড়েছি। বাড়ির আশেপাশে দুই-চার গ্রামে এমন কোনো বই নাই, যা পড়তে বাকি রেখেছি। তা যে ক্লাসের বা যে ধরনের পাঠ্য হোক। ধরেন, কেউ বিসিএস দিচ্ছে, তার বাংলা বইগুলো পড়তে চেষ্টা করতাম। পুরান দিনের পুঁথি পেয়েছি, পড়েছি। ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ টাইপের উপন্যাসও আমার ধারণা কয়েকশ পড়া হয়েছে। সূচি-সিলেবাস করে দেবে আর সেগুলো খুঁজে খুঁজে পড়ব, এমন কেউ তো ছিল না। হতে পারে তাই পাঠ-অভিজ্ঞতা হয়েছে বিচিত্র। তবে আজকাল হিসাব করে পড়ি এবং একাডেমিক কাজের চিন্তা মাথায় রেখে পড়ি।

দ্বিতীয় যেটা বললেন, ‘ভিন্ন চিন্তা’র কথা, সেটা হতে পারে গত শতকের দুজন মহাপুরুষের চিন্তার প্রভাব। সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। কিছুটা জামালুদ্দিন আফগানিও আছেন। আল্লাহ তাদের শান্তিতে রাখুন। তাদের সমসময়েও তাদের চিন্তাধারাকে লোকে প্রচলিত ধারার বাইরের চিন্তা মনে করতেন।

লেখকপত্র: আপনার ভিন্ন চিন্তাধারা অনেক সময় বিতর্ক সৃষ্টি করে। সেটার কারণ কী বলে আপনি মনে করেন?
মনযূরুল হক: আমাদের দেশে একটা কথা আছে, ‘মনু কান্দ ক্যা, নাকি চেহারাই এমন?’ আমার বেলায় মনে হয় বিষয়টা তেমনই। আমার ইমেজটাই গড়ে উঠেছে এমন যে, লোকে তর্কভরে দুই–-চার কথা শুনাতে ভালোবাসে। তবে, বিতর্কে কিছু আসে যায় না, কারণ বিতর্কে ভালো বা মন্দ নির্ধারণ হয় না। যা বলছি, তা ন্যায়সঙ্গত কি না এবং সময়োপযোগী কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।

এমনিতে আমাদের ‘কওম’ খানিকটা তর্কপ্রবণ, আবার শিক্ষাধারাও এতে খানিকটা তা দেয়। তবে আমি তো সংস্কারচিন্তার মানুষ, এধরনের মানুষ অনেকটা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মতো। ঝাড়ু দিতে গেলে দেখবেন, ধুলা-ময়লা ছিটছে বলে লোকজন খুব বিরক্ত হন, যদিও ধোয়ামোছা সুন্দর পরিবেশই চান সবাই। আপনি যদি সংস্কারের কথা বলেন, বিতর্ক হবেই, ধুলা উড়বেই। এই বিতর্কের মধ্য দিয়েই পরিবর্তনগুলো আসছে, আসবে। বিতর্ককে তাই ডার্টি না ভেবে, প্রসেস অব বিউটি ভাবতে চাই আমি।

যখন আলিয়ায় পরীক্ষা দিয়েছি, মাদরাসা আমার নাম কেটে দিয়েছে; এখন কি হাজারো ছেলে পরীক্ষা দিচ্ছে না? কওমির স্বীকৃতির জন্য রাস্তায় নেমেছি, শিক্ষকরা পিটিয়েছেন, ছাত্ররা ভরা মজলিসে ভ্রুকুটি করেছেন। এখন? ‘সোনার তরী’ পত্রিকা করেছি, ছবি দিয়ে, কিংবা আনতারা সাহিত্য আড্ডা করেছি, একুশে বইমেলায় গিয়েছি তখন দলবেঁধে লুকিয়ে। স্বাধীনতা বা বিজয় দিবসে পতাকা লাগিয়ে দিয়েছি শিক্ষকদের ডেস্কে, তারা টেনে ছিঁড়ে ফেলেছেন। নিষিদ্ধ মাসিক রহমতে ধারাবাহিক লিখেছি। বলেছি, কালেকশনের অপমানের কথা, ‘ফুলডোজ’ যুক্তি দিয়ে কেবল দাওরা সনদের অসারতার কথা, মৌলিক পুলিশি আইনের মতো সিভিক এডুকেশন এবং সোশ্যাল মিডিয়া লিটারেসি মাদরাসায় বাধ্যতামূলক করার কথা, আরও বহুকিছু। ফিল্মের কথা বলেছি এক যুগ আগে, একদল নাক সিঁটকানি দিছে, আর এখন ফিল্মিং-ভিডিওগ্রাফি শেখায় আস-সুন্নাহ, টুপি-জুব্বাপরুয়ারা গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে হাঁটে। সবাই যখন শুধু ধর্মের যুক্তি দিয়েছে, আমি তখন তাদের আরও বেশি মানুষের কাছে আসতে বলেছি, মানুষকে বুঝতে বলেছি, বলেছি, এটাই ধর্মের দাবি। যারা বিতর্কের অজুহাত তোলেন, তারা বলুক তো, এগুলোর কোনটা মন্দ বলেছিলাম? অথচ অনেকে তখন ‘কওমি বামপন্থী’ তকমা দিয়েছেন। তো সময় ঠিকই বদলেছে। যারা একসময় ঘৃণা ছড়িয়েছেন, বাস্তবতার চাপে তাদের আইকনরাও আগের চিন্তা ধরে রাখতে পারেননি, বদলে গেছেন। হ্যাঁ, তারপরও নবী ইউসুফের (আ.) মতো বলব, ‘অমা উবাররিউ নাফসি’। কিন্তু আমি জেনে বুঝে কখনও কওমের ন্যায়সঙ্গত বিশ্বাসের বিপক্ষে যাই নাই। ফলে বিতর্ক আমাকে নিঃসঙ্গ করে নাই, পথ আটকায় নাই, বড়রা বুঝেছেন, শিক্ষকেরা দোয়া করেছেন, নিত্য-নতুন পথ খুলে দিয়েছেন আল্লাহ।

লেখকপত্র: আপনার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কতটি? আপনার চোখে সেরা কয়েকটির নাম বলুন।
মনযূরুল হক: বই তো অনেকগুলো, ১২টা হবে মনে হয়। দুইটা বাদে সবই অনুবাদ। সেরা কি কোনোটাকে বলা যায়? ‘কাঁটা ও ফুল’ এবং ‘মুহাম্মদ (সা.): ব্যক্তি নবী’ এই দুইটা সম্ভবত একটু সমাদর পেয়েছে। তবে সবই করেছি আর্থিক দৈন্য কাটাতে। তাই সেগুলোকে ঠিক ‘নিজের বই’ বলে গর্ব করতে আমার সংকোচ হয়।

লেখকপত্র: আপনি যে দৈনিকটিতে কাজ করছেন নানা কারণে ইসলামপন্থীদের অনেকেই এর ওপর ক্ষুব্ধ। আপনি সেখানে মূলধারার ইসলামকে কতটা তুলে ধরতে পারছেন?
মনযূরুল হক: ক্ষুব্ধ ঠিক বলব না, তবে আহত হয়েছি আমিও এবং সেটা প্রকাশ্যে জানিয়েছিও; কেননা, তেমন কতগুলো যৌক্তিক কারণ তারা ঘটিয়েছেন। কিন্তু আমার মনে হয়েছে, দৈনিকটির কর্তৃপক্ষ পূর্বের ঘটনা আর চান না, সংশোধন চান এবং সেইটুকু সদিচ্ছা আছে বলেই আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এমন একটা দৈনিকে কাজ করতে পারা অনেকের জন্য ঈর্ষণীয়ও বটে। শেখার সুযোগ বিরাট, তাদের অডিয়েন্সও বড়। ফলে এখানে ইসলামকে আরও বড় পরিসরে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ‘মূলধারার ইসলাম’ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন জানি না, শুধু বলতে পারব, কাজের স্বাধীনতা এখানে বেশ আছে। এতোটাই যে, আমার নিজের একাধিক লেখা, যা অন্য দৈনিক ছাপতে সাহস পায়নি (যেমন: মহানবীর (সা.) বহু বিবাহ বা বনু কুরাইজা যুদ্ধের বিচার), সেগুলোও তারা ছাপছে নির্দ্বিধায়।

লেখকপত্র: রকমারির মতো প্লাটফর্মে অনেক দিন কাজ করেছেন। সেখানকার কাজের অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে বলবেন কি।
মনযূরুল হক: রকমারিতে কাজের অভিজ্ঞতা বহুমাত্রিক। ওখানে ‘লেখক সমন্বয়’ বিভাগে কাজ করতে গিয়ে চার হাজারেরও বেশি লেখকের সঙ্গে কথা বলেছি। রকমারির সার্ভিসগুলো ছড়িয়ে দিতে আরও সহজ ভাষা প্রয়োগ করেছি। ‘আপত্তিকর’ বিবেচনায় অর্ধলক্ষ বই চেকিং করেছি; যার মধ্যে জুলাইতে ‘জাফর ইকবাল’কে সরানোটা আমার হাত দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। রকমারির অনেক রিটেন পলিসি তৈরি করেছি, লেখকদের এম্পাওয়ারমেন্টের কৌশল নিয়েছি, দেশের উঁচুতলার বহু মানুষের সঙ্গে ডিল করেছি, রকমারির অ্যাডমিন প্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করেছি। এগুলো উল্লেখযোগ্য কয়েকটা। তবে সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা হলো, মাহমুদুল হাসান সোহাগ ভাইয়ের মতো ডায়নামিক, বিনয়ী ও সেলিব্রেটির কাছে থেকে কাজ করা। সুযোগ পেলে জীবনভর তার পিএস হয়ে থাকতে চাইতাম। রকমারি আমার জীবনকে একটা স্থিরতা দিয়েছে। খারাপ অভিজ্ঞতাও আছে। রকমারি একটা বিরাট মোহ, ভেতরে নানান পলিটিক্স আছে, যা নিচু পদের কর্মীদের ঘুম পাড়িয়ে রাখে। আর একটা হলো, সময়গুলো এমনভাবে শুষে নেয় যে, লেখার সময় বের করতে আমাকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে।

লেখকপত্র: কওমিপড়ুয়া তরুণদের মধ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সংকট কী বলে আপনি মনে করেন?
মনযূরুল হক: আমি একা মনে করলে কী হবে, সবাই মনে করে কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার বিবেচনায়, বড় সংকট হলো, তারা ঢাল-তলোয়ার ছাড়া অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। বেশিরভাগের পড়ুয়াদের সমাজে টিকে থাকার মতো নূনতম স্কিল নাই, সেদিকে তাদের ভ্রুক্ষেপও নাই। বরং তারা যেন ভেবে রেখেছেন, দাওরা পড়া মানেই সমাজের বিশিষ্ট হয়ে যাওয়া, মানুষ এবার তাদের শ্রদ্ধা করে খেতে পরতে দিতে বাধ্য। ফলে নানা অহেতুক কাজে তারা জীবন খোয়াচ্ছেন। কারণ, যাই করবেন, তাতেই অন্যদের কাছে হাত পাততে হয়। জনমানুষের জীবনে কত যে সমস্যা, কত যে সংকট, সেগুলো সমাধান করার কোনো তাগিদ নেই তাদের। কীভাবে থাকবে, নিজেরাই অষ্টপাকে বাঁধা। শ্রদ্ধেয় মুরব্বি সমাজ, যাদের অঙ্গুলির হেলনে কওমি পরিচালিত হয়, তারা এর কিছুই বোঝেন না; যেন–বা তারা অন্ধ বা বধির। আশার কথা হলো, কওমি তরুণদের জীবনীশক্তি অসামান্য, তাই দিয়ে আল্লাহর রহমতে আমরা টিকে আছি। আমাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে, নিজেরাই নিজেদের পথ খুঁজে নিচ্ছি।

লেখকপত্র: ইসলামি ধারার লেখকদের কোন ঘাটতিগুলো আপনার চোখে বিশেষভাবে ধরা পড়েছে?
মনযূরুল হক: আমাদের মধ্যে এমন সময় বাংলা লেখার ঢল নেমেছে, যখন লেখকের আর তত চাহিদা নাই। এআই এসেছে। আবার যারা লেখেন, তাদের সিংহভাগ বাংলা ভাষাটা জানেন না। কেউ ব্যাকরণিক শুদ্ধাচারে মগ্ন, কেউ ভাষাকে আরও পবিত্র করায় মনোযোগী। বাংলা ভাষার যে একটা এটিকেট আছে, সেটা না মেনেই তারা ভাষার গতিপথ বদলাতে চান। তা ছাড়া লেখকদের পাঠশূন্যতা দেউলিয়া পর্যায়ের, বিশ্বের বিপুল জ্ঞানসমুদ্র সম্পর্কে বেখবর এবং উদ্ভাবনী চিন্তার অভাব। বেশির ভাগের নেটওয়ার্কিং দুর্বল, কোথায় কোন লেখা কীভাবে উপস্থাপন করলে ফলপ্রসূ হবে, জানেন না। উপরন্তু নিজেদের লেখাকে নিজ গণ্ডিতে প্রকাশ করা বা নিজেদের পরিম-লে নিজের বই বিক্রি হওয়াকে বিপুল সফলতা ভাবেন; যা এক ধরনের বালখিল্য মনোভাব।

লেখকপত্র: কথাসাহিত্যে অনেকে আপনার মধ্যে একটা সম্ভাবনা দেখেন। সেই দিকটাকে কতটা ফোকাস দিচ্ছেন?
মনযূরুল হক: খুব একটা দিচ্ছি না। কথাসাহিত্য আমার নিজেকে রিলিফ করার জায়গা, নিঃশ্বাস ফেলার বারান্দা; মূল ফোকাসের না। কেননা, আমি মনে করি, সাহিত্য কেবল চর্চা করে উন্নতির শিখরে পৌঁছার যুগে আমরা নাই, বরং সাহিত্যের মাধ্যমে জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার সময় এখন। বাংলায় ইসলামের একটা সমৃদ্ধ জ্ঞানভাণ্ডার গড়তে আমরা ব্যর্থ হয়েছি, তাই সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিত। আমি শিক্ষা, সিরাত এবং ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স নিয়ে কয়েকটি মৌলিক গবেষণার কাজ করে যেতে চাই, তাতে দীর্ঘ সময় লাগবে। সে দিকটাতেই ফোকাস করছি।

লেখকপত্র: আপনি তথ্যপ্রযুক্তির খোঁজখবর রাখেন। আগামী দিনে এআই প্রযুক্তি লেখকদের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
মনযূরুল হক: আমার মনে হয়, চ্যালেঞ্জ না, ইসলামি ভাবধারার লেখকদের জন্য এআই একটা সুবর্ণ সুযোগ। এআই লেখার বিষয়স্তু বিস্তারের এবং পরিশ্রম কমানোর একটা বিরাট মাধ্যম। লেখকরা এখন চাইলে আয়াসসাধ্য কাজ এআইকে করতে দিয়ে, উদ্ভাবন, নতুনত্ব ও অলঙ্কারের দিকে আরও বেশি যত্নবান হতে পারবেন। এমনকি অলেখক আইডিয়াবাজও ইসলামি জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে এখন এগিয়ে আসার সাহস পাবেন। বরং চ্যালেঞ্জটা হতে পারে প্রকাশকদের। কতটা লোড তারা নিতে পারবেন, কীভাবে বই পাঠকবান্ধব করবেন সেসব ভাবতে হবে তাদের। নইলে তাদের ব্যবসা মার খাবে। লেখকের সমস্যা হবে না, তাদের লেখা প্রকাশের মাধ্যমের অভাব হবে না।

[লেখা ও লেখকের কথা নিয়ে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক সাময়িকী লেখকপত্রের সৌজন্যে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হলো]


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ