সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

তালাকের নিয়ত ছাড়া ‘তোরে আমি ছেড়ে দিয়েছি’ বললে কি তালাক হবে?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: ইন্টারনেট

কোন স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে কথা কাটাকাটির সময় ‘তোরে আমি ছেড়ে দিয়েছি’। স্ত্রী বলেছে: কী বললেন? তারপর স্বামী বলেছে “ তোমাকে আমি আল্লাহর ওয়াস্তে ছেড়ে দিয়েছি, তুমি যা খুশি তা কর, তোমাকে স্বাধীনতা দিয়েছি”।

এখানে কোন তালাকের তালাকের নিয়ত ছিল না। একজন বলছে ‘তালাক হয়ে গেছে’ নিয়ত করতে হবে না। আরেকজন বলেছে ‘নিয়ত ছাড়া তালাক হবে না’।

হযরত এটা নিয়ে খুব টেনশনে আছি যদি মশলাটা একটু বলতেন।

উত্তর-

‘ছেড়ে দিয়েছি’ শব্দটি বাংলাদেশে স্ত্রীর ক্ষেত্রে তালাকের জন্য ‘ছরীহ’ তথা স্পষ্ট শব্দ। এ শব্দে তালাক দেয়া আর তালাক শব্দে তালাক দেয়া একই কথা।

আর ছরীহ তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত থাকা বা না থাকার কোন ধর্তব্যতা নেই। সর্বাবস্থায়ই তা স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললে তালাক হিসেবে পরিগণিত হয়।

আর কথা কাটাকাটির সময় বলার দ্বারা একথা প্রমাণ করে যে, তালাক উদ্দেশ্যেই কথাটি বলা হয়েছে এটা অস্বিকার করার কোন সুযোগ নেই।

সুতরাং ‘তোরে আমি ছেড়ে দিয়েছি’ বলার দ্বারা এবং দ্বিতীয়বার স্ত্রীর জিজ্ঞাসার জবাবে আবার ‘আল্লাহর ওয়াস্তে ছেড়ে দিয়েছি’ বলার দ্বারা স্ত্রীর উপর দুই তালাকে রেজয়ী পতিত হয়ে গেছে।

তালাকের নিয়ত ছাড়া ‘তুমি যা খুশি তা কর, তোমাকে স্বাধীনতা দিয়েছি’ বলার দ্বারা কোন তালাক পতিত হয়নি।

সুতরাং স্ত্রীকে এখন মৌখিক বা শারীরিকভাবে স্ত্রীসূলভ আচরণ দ্বারা ফিরিয়ে আনতে পারবে।

তবে মনে রাখতে হবে, স্বামী আর এক তালাকের মালিক থাকবে। যদি ভবিষ্যতে আর এক তালাকও প্রদান করে থাকে, তাহলে উক্ত স্ত্রী তার উপর হারাম হয়ে যাবে।

আমাদের পরামর্শ

কিছু হলেই তালাক দেয়া, ছেড়ে দেবার কথা বলা এটা শোভনীয় নয়। কোন ভদ্র স্বামীর জন্য এমন আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়। তাই ভবিষ্যতে এহেন আচরণ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখা জরুরী। সূত্র: আহলে হক মিডিয়া

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ