সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

‘ভাষা’র অপব্যবহারে ছিন্ন হয় নিবিড় সম্পর্ক 


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| আব্দুর রউফ আশরাফ ||

ভাই ভাই সম্পর্ক শত্রুতে পরিণত হওয়ার ছোট একটি কারণ ভাষার অপব্যবহার। কথাবার্তা ও ভাব বিনিময়ের সময় সামান্য ব্যতিক্রম কথা বলার থেকেই ইস্পাতের সম্পর্ক ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইসলামি শরিয়াতে গালিগালাজ, মন্দ ও অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা ভাববিনিময় সম্পূর্ণ নিষেধ। কারণ গালিগালাজ, মন্দ কথা ও অশ্লীল কথা বলার সময় সীমা লংঘন হয়।

অধিকাংশ সময় কুরআন হাদিস বিরোধী বাক্য-বিনিময় হয়। কথা-কাটাকাটি করে অনেক সময় একে অন্যের দোষ বর্ণনা করে, বাবা-মা তুলে অশ্লীল কথা বলে। এমনকি পরস্পরে মারাত্মক কলহে জড়িয়ে পড়ে। অশালীন কথাবার্তার ফলে মানুষের মনে জেদ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ফলশ্রতিতে রক্তপাত হয়। মন্দ ও খারাপ কথার দ্বারা সমাজের পারস্পরিক সম্প্রীতির সুন্দর ও মধুর বন্ধন তিক্ত হয়,অহংকারের বীজ সৃষ্টি হয়, নম্রতা-ভদ্রতার সীমা লংঘিত হয়।

আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারিমে মানুষকে সুন্দর ও উত্তম কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ আছে ‘তোমরা মানুষের সঙ্গে উত্তম ও সুন্দর কথা বলো। [সুরা বাক্বারা : আয়াত ৮৩] অর্থাৎ মানুষের সঙ্গে কথা-বার্তায় খারাপ বা মন্দ কথা বল না। সুন্দর ও উত্তম কথার দ্বারা ভাব বিনিময় কর।

এ কারণে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে গালি দেয়া ফাসেকি এবং তার সঙ্গে ঝগড়া বা লড়াই করা কুফরি।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ