রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ ।। ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ৫ জিলহজ ১৪৪৬


হজের সফরে মক্কায় ধর্ম উপদেষ্টা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পবিত্র হজের সফরে মক্কা মোকাররমায় পৌঁছেছেন।
 
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে তিনি মক্কায় পৌঁছেন। পরে তিনি পবিত্র ওমরাহ সম্পন্ন করেন। 

আগামী ৫ জুন এবারের হজ পালিত হবে। ৪ জুন থেকেই শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা। 

হজে অংশগ্রহণ ছাড়াও ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন। 

এদিকে হজের সফরে যাওয়ার আগে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ২০২৫ সনের হজ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন ধর্ম উপদেষ্টা। 

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জুলাই বিপ্লব এবং সৌদি সরকারের নতুন নিয়ম-নীতির কারণে এবারের হজ ব্যবস্থাপনা ছিল সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।সমগ্র হজ ব্যবস্থাপনায় হজ উইংয়ের সচিব, উপসচিবসহ কর্মকর্তারা বন্ধের দিনও কাজ করেছেন। আমরা শুক্রবার, শনিবার এমনকি সরকারি বন্ধের দিনও অফিস খোলা রেখেছি। একটা দূরদর্শিতা নিয়ে আমার কর্মকর্তারা কাজ করেছেন।

ধর্ম উপদেষ্টা জানান, হজের খরচ যৌক্তিকীকরণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করেছে মন্ত্রণালয়। যদিও হজের অধিকাংশ খরচ যেমন- ভিসা ফি, স্বাস্থ্যবীমা, জমজমের পানি, তাঁবুর খাবার ও মূল্য সৌদি কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে, তবুও বাংলাদেশ সরকার বিমান ও হোটেল ভাড়ার ক্ষেত্রে সফলভাবে দর কষাকষি করেছে। এর ফলে বিমানভাড়া গতবারের তুলনায় ২৬ হাজার ৯৮০ টাকা কমানো সম্ভব হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, সাধারণ মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় আমরা যৌক্তিক হারে বাড়িভাড়া নিশ্চিত করেছি এবং এবছর সৌদি রিয়ালের দাম বৃদ্ধি ও সার্ভিস চার্জ বেড়ে যাওয়ার পরও তুলনামূলক সাশ্রয়ী হজ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পেরেছি।

হজ এজেন্সির জন্য সৌদি সরকার যে কোটা নির্ধারণ করেছিল সেটিও বাংলাদেশের অনুরোধে কমিয়ে আনা হয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা জানান, প্রথমে প্রতিটি হজ এজেন্সির জন্য ২০০০ জনের ন্যূনতম কোটা নির্ধারণ করা হলেও আমাদের অনুরোধে তা এক হাজারে নামিয়ে আনা হয়। সরকার পরে ৭০টি লিড এজেন্সি গঠন করে।

তিনি জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মিনা ও আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ এবং ক্যাটারিং কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়। এছাড়া সৌদি সরকারের নুসুক মাসার (Nusuk Masar) প্ল্যাটফর্মে বাড়িভাড়া ও পরিবহন সংক্রান্ত কাজ সময়মতো সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমেই হজযাত্রীদের ভিসার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেও তিনি জানান।

চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। লাব্বাঈক নামের একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে, যা হজযাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করবে। পাশাপাশি হজযাত্রা নিরাপদ করতে ‘হজ প্রিপেইড কার্ড’ চালু করা হয়েছে, যা নগদ টাকার বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ