সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনে গণভোট লাগবে : আলী রীয়াজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হলে ভবিষ্যতে এ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে গণভোটের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৪তম দিনের সংলাপের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যুক্ত হওয়ার পর ভবিষ্যতে তা পরিবর্তন করতে চাইলে গণভোট ছাড়া কোনো পথ থাকবে না। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে মতপার্থক্য নেই, তাই ভবিষ্যতের সম্ভাব্য পরিবর্তনকে গণভোটের আওতায় আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।”

তিনি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নিয়োগে আগামী সপ্তাহে রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের বিষয়ে আশাবাদী কমিশন।

সংলাপে সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে জানিয়ে ড. রীয়াজ বলেন, “যদি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠিত না হয় বা উচ্চকক্ষ গঠনের পূর্ব পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনের জন্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হবে। তবে প্রস্তাবনা, রাষ্ট্রের মূলনীতি, অনুচ্ছেদ ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত ৫৮(খ), ৫৮(গ), ৫৮(ঘ) ও ৫৮(ঙ) অনুচ্ছেদগুলো সংবিধানে যুক্ত হলে সেগুলো সংশোধনে গণভোট অপরিহার্য হবে।”

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “কোনো কোনো দল ভোটের আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ চায়, আবার কেউ কেউ আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। একাধিক আলোচনার পরও এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য গড়ে ওঠেনি, ফলে কমিশনের ওপরই সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।”

কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী সপ্তাহে দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট অবস্থান জানানো হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আজকের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ