ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেছেন, স্বাধীন বাংলার ঈমানদার জনতা কখনোই বিদেশী কোন তাঁবেদারী মেনে নেবে না। তিনি বলেন, মায়ানমার আর্মিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম হয়ে মানবিক করিডোর দেয়ার মাধ্যমে একটি স্বাধীন খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে, যা দেশপ্রেমিক জনতা জীবন দিয়ে হলেও প্রতিহত করবে।
সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপ বহুদিন ধরে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের মিজোরাম অঞ্চল নিয়ে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন লালন করে আসছে। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য তারা জাতিসংঘের ২০০৭ সালের আদিবাসী ঘোষণাপত্রের অপব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলিকে আদিবাসী হিসেবে প্রচার করছে। এর মাধ্যমে "স্বাধীন জুমল্যান্ড" নামে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পায়তারা চলছে।
আবুল কাশেম আরও বলেন, খ্রিষ্টান মিশনারী ও এনজিওদের মাধ্যমে পাহাড়ি উপজাতিদের ব্যাপকভাবে খ্রিষ্টান বানানোর কাজ চলছে। এই অপতৎপরতা এখনই প্রতিহত করতে না পারলে দেশের অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি জানান, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা আমেরিকা থেকে বসে স্বাধীন খ্রিষ্টান রাষ্ট্র গঠনের সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন। এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) বাধাগ্রস্ত করা এবং মার্কিন নৌ-বাহিনীর মাধ্যমে এই অঞ্চলে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা। ভবিষ্যতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোটের মাধ্যমে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মতো একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনেরও ছক কষা হচ্ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, “যে জাতি দেশের জন্য জীবন দিতে জানে, তাকে কোন ষড়যন্ত্রই দাবিয়ে রাখতে পারবে না।” তিনি মানবিক করিডোরের নামে চলমান চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার ও প্রতিবাদী হওয়ার আহ্বান জানান।
এমএইচ/