ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ আজ ২০ মে, মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে বলেছেন, বাংলাদেশ ইতিহাসের এক মাহেন্দ্রক্ষণে বিরাজ করছে। স্বাধীনতার পরে ৫৪ বছরে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে যে জঞ্জাল জমেছে তা দুর করার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। কোন কারণেই সেই সুযোগ নষ্ট করা যাবে না। তাই বিতর্ক তৈরি হয় বা নানামূখি বিশ্লেষণের সম্ভাবনা আছে এমন বিষয়ে অন্তবর্তী সরকারের কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন,অভ্যুত্থানের পর থেকে এই সরকার জনতার প্রশ্নাতীত সমর্থন পেয়েছে। সরকার পরিচালনায় প্রত্যাশার মাত্রা পূরণে ঘাটতি থাকলেও আমরা এবং জনগন সরকারকে সাহস জুগিয়েছি, পাশে থেকেছি। কিন্তু হটাৎ করে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ইসলামবিরুদ্ধ যে প্রস্তাবনা হাজির করলো এবং সরকার প্রধান যেভাবে তাকে উষ্ণতার সাথে বরণ করলেন তা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে আহত করেছে। সরকারের প্রতি সন্দিহান করে তুলেছে। এর সাথে যোগ হয়েছে মানবিক করিডোর ও চট্রগ্রাম বন্দরের পরিচালনা বিদেশি কোম্পানীর হাতে তুলে দেয়ার মতো বিষয়। দুইটি বিষয়ই রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার সাথে সম্পৃক্ত। আমরা বারংবার বলেছি, এই ধরণের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলে নিতে হবে। কারণ অন্তবর্তী সরকারের মেয়াদ প্রধান উপদেষ্টার কথামতো সর্বোচ্চ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। অথচ এই ধরণের সিদ্ধান্তের প্রতিফল বছরের পর বছর জারি থাকে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ করা ছাড়া এই ধরনের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে জটিলতা তৈরি করবে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
মাওলানা ইউনুস্ আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকারে জনপ্রতিনিধি না থাকায় নিত্যদিনের নাগরিক সেবায় হয়রানীর শিকার হচ্ছে মানুষ। মানুষও দীর্ঘদিন সুস্থধারার রাজনীতি থেকে বঞ্চিত। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করলে মাঠ পর্যায়ে জনগনের শাসন নিশ্চিত করা যাবে এবং মানুষও রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠবে। তাই আগামী শীত মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিন। এবং সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল করুন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, দলের মুখপাত্র ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, এডভোকেট বরকতুল্লাহ লফিফ, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, অধ্যাপক নাছির উদ্দিন, মাওলানা খলিলুর রহমান, ডাক্তার শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
এমএইচ/