ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে ‘মার্চ ফর ফ্যাসিবাদী আইকন’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাঙামাটিতে ভেঙে ফেলা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যায় শহরের সার্ভার স্টেশনের সামনে নির্মিত ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়। এর আগে গত শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল থেকে ভাস্কর্যটি ভাঙতে শুরু করে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা।
গত ৫ দিন ধরে ভাস্কর্য ভাঙার কাজ চলছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাস্কর্যটি ভাঙার কাজ শেষ হয়। ভাস্কর্যটি স্ট্যান্ড থেকে ভেঙে পড়ার পর পরই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায় ভাস্কর্য ভাঙার কাজে নিয়োজিতদের।
প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভাস্কর্য ভাঙার কাজে চট্টগ্রাম থেকে স্কেভেটর আনা হয়েছিল। ১০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার সমর্থক তসলিম উদ্দিন বলেন, এই ভাস্কর্যটি ভাঙার পর সবাই আনন্দিত হয়েছে। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার সদস্য রাঙামাটি সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইমাম হোসাইন ইমু বলেন, সারাদেশের কোথাও ফ্যাসিবাদীর মূর্তি বা ভাস্কর্য নেই। কিন্তু আমাদের রাঙামাটিতে এতদিন পর্যন্ত ছিল। এই ভাস্কর্য অপসারণের জন্য দীর্ঘ ৯ মাস ধরে প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রশাসন ভাস্কর্য ভাঙার আশ্বাস দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কারণেই রাঙামাটির আপামর ছাত্র জনতা মূর্তি অপসারণের পদক্ষেপ নিয়েছে। অবেশেষে মূর্তিটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে আমরা খুশি ও আনন্দিত। আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ মে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণ চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার নেতারা । শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল থেকে ভাস্কর্য ভাঙার কাজ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
এমএইচ/