সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

‘বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে অবিশ্বাস দূর করতে তদন্ত কমিটি করুন’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনূস আহমাদ বুধবার (২৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২১ তারিখ উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নানা রকম অবিশ্বাস ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে বা তৈরি করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য যে, পতিত ফ্যাসিবাদ বিভিন্ন ঘটনায় এতো বেশি মিথ্যা বলতো যে, মানুষ এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যকে আর বিশ্বাস করে না। রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতি নাগরিকদের এমন গণ-অবিশ্বাস আমাদের আগামীর পথচলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি। জোর করে মানুষের বিশ্বাস-অবিশ্বাস ভাঙা যায় না। তাই তদন্ত কমিটিতে নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সামনে নিয়ে আসতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে অবিশ্বাস শুরু থেকেই তোলা হয়েছে। আহতদের সংখ্যা ও অবস্থা নিয়েও নানা গুঞ্জন বাতাসে ভাসমান। একই সাথে বিধ্বস্ত বিমানের ফিটনেস, পাইলটের দক্ষতা ইত্যাদি নিয়ে নানা রকম সন্দেহ ও অবিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। এটা রাষ্ট্র ও নাগরিকের সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক বিষয় নয়। 

সেজন্য প্রকৃত আহত ও নিহতের সংখ্যা নির্ধারণ করার জন্য মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। ঘটনাস্থল স্কুল হওয়ার কারণে সেখানে কতজন ছিল তা বের করা কঠিন কিছু হবে না। ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ-অবিশ্বাস দূর করাও কঠিন কিছু না। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে থাকা বিমান কেনার সময় নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। অভ্যুত্থানের পরে এখনই সময় সামরিকখাতের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা। বিশেষ করে বিমান বাহিনীর বিমান কেনা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে নানা সময়ে তার সুষ্ঠু সমাধা হওয়া বাঞ্চনীয়। কারণ আমাদের সামরিক বাহিনীকে আমরা প্রশ্নাতীতভাবে হৃদয়ের গহীন থেকে সম্মান করতে ও ভালোবাসতে চাই একই সাথে সামরিক বাহিনীর কারো জীবন ঝুকিতে থাকুক তাও আমরা চাই না। তাই প্রশিক্ষণ বিমানসহ বিমান বাহিনীর বিমান, অস্ত্র ইত্যাদি সম্পর্কে একটি সামগ্রিক পর্যাবেক্ষণ ও তদন্ত হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। সেজন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা যেতে পারে।

অধ্যক্ষ ইউনূস আহমদ বলেন, হতাহতদের চিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণ প্রদানে সরকার আন্তরিক হবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। এই সরকার দেশ গঠনের প্রত্যয় নিয়ে গঠিত একটি সরকার। এই ধরনের দুর্ঘটনা ও তৎপরবর্তী ব্যবস্থাপনায় এই সরকার একটি উত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ