শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে বিনা খরচে আরও কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা স্মারক সই সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সেই বিতর্কিত ব্যক্তি আটক জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম নির্ধারণ

কী কথা হলো ইউনুস-মোদির ৪০ মিনিটের বৈঠকে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের শেষ দিন বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। গত বছর আগস্টে ড. ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম বৈঠক হলো বাংলাদেশ ও ভারতের দুই শীর্ষ নেতার।

এটি অবশ্য নির্ধারিত কোনো বৈঠক ছিল না; অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদি কিংবা ড. মুহম্মদ ইউনূস— কারো সফরসূচিতেই এ বৈঠকের উল্লেখ ছিল না। দুই দেশের কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টার ফলেই সম্ভব হয়েছে দুই নেতার সাক্ষাৎ।

সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের জাতীয় দৈনিক দ্য হিন্দু জানিয়েছে, ড. মুহম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের স্থায়িত্ব ছিল ৪০ মিনিট। পরে নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিক্রম মিশ্রি মন্ত্রণালয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বৈঠকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনে ভারত সবসময় সহযোগিতা করবে। তিনি আরও বলেছেন যে ভারত দুই দেশের জনগণকেন্দ্রীক সম্পর্ক চায় এবং বিশ্বাস করে যে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে দুই দেশের জনগণ।”

“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত। বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশটির সরকারপ্রধানকে অনুরোধ করেছেন তিনি। পাশাপাশি দুই দেশের উস্কে দিতে পারে— এমন মন্তব্য না করারও আহ্বানও জানিয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ৭ রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্স নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ইউনূস। ভারতের রাজনীতিবিদরা বিষয়টি ভালোভাবে নেননি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে সেদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় বর্তমানে সেখানে আশ্রিত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যার্পণ, তাকে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা, গঙ্গা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরসহ বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সংক্রান্ত ইস্যু উত্থাপন করেছেন ইউনূস।

এসব ইস্যুর মধ্যে শেখ হাসিনাকে প্রত্যার্পণের ব্যাপারটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শিক্ষার্থী-জনতার ব্যাপক অভ্যুত্থানের মুখে টিকতে না পরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে নয়াদিল্লির একটি সুরক্ষিত এলাকায় আছেন তিনি।

তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গত ছয় মাসে কূটনৈতিক পন্থায় একাধিকবার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সেসব সফল হয়নি।

শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারপ্রধানের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা জানতে চান সাংবাদিকরা।

জবাবে বিক্রম মিশ্রি স্বীকার করেন যে এ ইস্যুতে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে, তবে কী কথা হয়েছে— সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ