রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
রাতেই ঢাকাসহ তিন অঞ্চলে ঝড়ের আভাস অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে উদ্বৃত্ত সৃষ্টি: বাণিজ্য উপদেষ্টা চবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ সিরাতকে ধারণের মাধ্যমেই সত্যিকার পরিবর্তন সম্ভব: ধর্ম উপদেষ্টা সিরাতুন্নবী (সা.) সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার লাইভ ড্র অনুষ্ঠান ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত

ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে বিশাল প্রতিবাদ মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দিল্লির টলকাটোরা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড (AIMPLB) নতুন ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে বিশাল প্রতিবাদ সভা করেছে। এই সভার নাম ছিল ‘তাহাফ্‌ফুয-এ-আওকাফ কাফেলা’ (ওয়াকফ রক্ষার অভিযান)। সেখানে বলা হয়, এই নতুন আইন ওয়াকফ সম্পত্তি ধ্বংস করার এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র।

গোটা ভারতের বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের নেতারা এতে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন আলোচিত সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি, আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা, কংগ্রেস নেতা ইমরান মাসুদ এবং সমাজবাদী পার্টির সাংসদ মহিবুল্লাহ নদভি।

সভায় আইনের বিরুদ্ধে ভবিষ্যৎ আইনগত লড়াইয়ের কথাও আলোচনা হয়।

ওয়াইসি বলেন, ‘বিজেপির এক সদস্য সংসদে বলেছিলেন, একটা মুসলিম দেশে কোনো ওয়াকফ নেই। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলবো, তিনি সৌদি আরব সফরে গিয়ে সেখানকার যুবরাজকে জিজ্ঞেস করুন, মদিনা কি ওয়াকফ জমির ওপর তৈরি নয়? ওয়াকফ তো সব মুসলিম দেশে আছে, সেটা রাজতন্ত্র হোক বা গণতন্ত্র।’

মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড জানায়, এই আন্দোলনের প্রথম ধাপ ১১ এপ্রিল শুরু হয়েছে এবং ৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এই ৮৭ দিনে এক কোটি মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হবে এবং আইন বাতিলের দাবি জানানো হবে।

তারা আরও জানায়, যদি সরকার এই আইন না তুলে নেয়, তাহলে এরপরে আরও বড় প্রচার অভিযান চালানো হবে।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ জানায়, তাদের প্রতিনিধি পরিষদ ১২-১৫ এপ্রিল পর্যন্ত একটি বৈঠকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গ্রহণ করে।
তাদের মতে, সংশোধিত আইনে সরকারের নিযুক্ত কর্মকর্তারা ওয়াকফ সংক্রান্ত বিরোধ মেটাতে পারে, ফলে সরকারই নিজের মামলায় বিচারক হয়ে যাচ্ছে। এতে পুরনো, ইতিহাসসমৃদ্ধ ওয়াকফ সম্পত্তি দখল বা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যেগুলোর কাগজপত্র নেই।

জামায়াত এই আইন অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানায় এবং AIMPLB-এর আন্দোলনে জনগণকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজ এবং বুদ্ধিজীবীদের এ বিষয়ে সচেতনতা ছড়ানোর অনুরোধ জানায়। তারা এই বিষয়ে মত প্রকাশ করার জন্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর ভূমিকাও প্রশংসা করেছে। সূত্র: ইটিভি ভারত

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ