রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’

ইসরায়েলের বন্ধু, তবুও সৌদিতে করতালিতে ভাসলেন ট্রাম্প

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের রাজকীয় বলরুম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, আমেরিকা আর জাতি গঠনে বা অন্য দেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ করবে না। “আপনাদের কীভাবে জীবনযাপন করবেন, সেই লেকচার দেয়া শেষ”—এই বক্তব্যে তার সৌদি শ্রোতারা করতালিতে ফেটে পড়ে।

তিনি বলেন, “দেশ গড়ার নামে অনেক দেশ ধ্বংস হয়েছে,” আর “আমেরিকান হস্তক্ষেপকারীরা এমন সমাজে হস্তক্ষেপ করেছে, যা তারা বোঝেইনি।” মধ্যপ্রাচ্যের মানুষকে নিজের ভাগ্য নিজেরাই গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।


মার্কিন আগ্রাসন, গাজায় ইসরায়েলকে সমর্থন ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিরক্ত জনগণ ট্রাম্পের বক্তব্যকে স্বাগত জানায়। ইয়েমেন, সিরিয়া, সৌদি আরবসহ বহু দেশে এই বক্তব্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ তাকে ফরাসি ঔপনিবেশিক চিন্তাবিদ ফ্যাননের সঙ্গেও তুলনা করেন।

তবে ট্রাম্পের এই ‘সক্ষমতা প্রদর্শন’ নিয়ে মানবাধিকারকর্মীরা উদ্বিগ্ন। সৌদিতে আটক এক মার্কিন নাগরিকের ছেলে বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন আমার বাবার বিষয়টি স্বাভাবিক করে তুলছে, যা মোটেই স্বাভাবিক নয়।”

মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে ট্রাম্প সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকে “অসাধারণ মানুষ” বলে প্রশংসা করেন। মার্কিন স্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে স্পষ্ট করে বলেন, “অতীতের অনেক প্রেসিডেন্ট বিদেশি নেতাদের আত্মা বিশ্লেষণ করে তাদের বিচার করতে গিয়ে ভুল করেছে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প নতুন ধরনের ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী কূটনীতি উপস্থাপন করেছেন, যা বামপন্থিদের উপনিবেশ-বিরোধী কথাবার্তাও ধার করে। তবে অনেকেই মনে করছেন, মানবাধিকার নয়, এই সফরের মূল লক্ষ্য ছিল ব্যবসা ও বিনিয়োগ। তিনটি উপসাগরীয় দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ