রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই

১ হাজারের বদলে ১ হাজার বন্দী মুক্তি দেবে রাশিয়া ও ইউক্রেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া ও ইউক্রেন ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ১ হাজার বনাম ১ হাজার যুদ্ধবন্দী বিনিময়ে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। শুক্রবার (১৬ মে) তুরস্কে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, আমরা বিনিময়ের তারিখ জানি, তবে এখনই তা প্রকাশ করব না।

এদিকে অল্প সময়ের মধ্যেই রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কিও রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এই বন্দিবিনিময়ের খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে এ ধরনের বন্দিবিনিময় বিরল যোগাযোগ ও সহযোগিতার নিদর্শন। সর্বশেষ বন্দিবিনিময় হয়েছে ৬ মে। সে সময় ২০৫ জন বন্দীর বিনিময়ে ২০৫ জন বন্দীকে মুক্ত করে দেয় দুই দেশ।

এর আগে ২০২৪ সালে ইউক্রেন সব বন্দিবিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে রাশিয়া এখনো সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি। ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়ার হাতে কতজন ইউক্রেনীয় বন্দী রয়েছে, সে তথ্য তারা প্রকাশ করে না।


সপ্তাহের শুরুতে মস্কো শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তা গ্রহণ করেন এবং পুতিনকে সরাসরি বৈঠকের আহ্বান জানান। তবে পুতিন নিজে না গিয়ে তাঁর উপদেষ্টা মেদিনস্কিকে পাঠান। রুশ প্রতিনিধিদলে কিছু উপমন্ত্রী ও নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা থাকলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভসহ শীর্ষস্থানীয় কেউ ছিলেন না।

এই অবস্থায় জেলেনস্কি বলেছেন, মস্কো একটি লোকদেখানো প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। পশ্চিমা কূটনীতিকেরাও মনে করছেন, পুতিন প্রকৃতপক্ষে শান্তি আলোচনায় আন্তরিক নন।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রি ইয়েরমাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী উমেরভ। তারা একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গেও বৈঠক করেন।

ইউক্রেন ও তার মিত্ররা ১২ মে থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলেও রাশিয়া সেটিকে উপেক্ষা করেছে। ইউক্রেন চায় এই যুদ্ধবিরতি থেকেই শান্তি আলোচনার পথ খুলুক। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই আলোচনাকে ২০২২ সালের আলোচনার ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা উচিত এবং যুদ্ধের ‘মূল কারণগুলো’ আলোচনায় আনা জরুরি।

এই বৈঠকের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে আশাবাদী প্রতিক্রিয়া দিলেও পরে মন্তব্য করেন, যতক্ষণ না পুতিনের সঙ্গে তার দেখা হচ্ছে, ততক্ষণ এই আলোচনা থেকে বড় অগ্রগতি আশা করা যায় না। এই বৈঠকে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প, পুতিন ও জেলেনস্কির কেউই অংশ নেননি।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ