রবিবার, ২৫ মে ২০২৫ ।। ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফেনী জেলা শাখার নতুন কমিটি ভারতকে মোকাবিলায় প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মাওলানা আবু তাহের রাহমানী প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমানের সহধর্মিণীর ইন্তেকাল  পানি ইস্যুতে উত্তপ্ত পাক-ভারত সম্পর্ক, জাতিসংঘে সরব ইসলামাবাদ চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দেওয়া হচ্ছে না : প্রেসসচিব আরাফায় হাজিদের গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ আজকের পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ সব খবর ২৫/০৫/২০২৫ বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপে যাচ্ছে ইসলামি দলগুলো ভারত, পাকিস্তান, ইরান এমনকি চীনের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তালেবান

আবারো কি ধ্বংসের পথে বনী ইসরাইল?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যুগে যুগে আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এবং নবীদের হত্যা করে বনী ইসরাইল ফিতনা-ফাসাদের জন্ম দিয়েছে দুনিয়াজুড়ে। তাদের এই অবাধ্যতার কারণেই বহুবার তারা লাঞ্ছিত ও বিতাড়িত হয়েছে, সম্মুখীন হয়েছে ধ্বংসের। এই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে, যার ইঙ্গিত বহু পূর্বেই পবিত্র কোরআনে দিয়ে গেছেন আল্লাহ তাআলা।

পবিত্র কোরআনে সূরা বনী ইসরাইলে মহান আল্লাহ বলেন, “আমি বনী ইসরাইলকে কিতাবে পরিষ্কার বলে দিয়েছি, তোমরা পৃথিবীর বুকে দুবার অনর্থ সৃষ্টি করবে এবং অত্যন্ত বড় ধরনের অবাধ্যতায় লিপ্ত হবে। অতঃপর যখন প্রতিশ্রুতি সেই প্রথম সময়টি এলো তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করলাম আমার কঠোর যোদ্ধা বান্দাদেরকে। অতঃপর তারা প্রতিটি জনপদের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ল। এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল।”
 
এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, বনী ইসরাইল দুনিয়ার বুকে দুইবার বড় ধরনের ফাসাদ সৃষ্টি করবে। ইসলামি ঐতিহাসিক ও তাফসীরবিদদের মতে, প্রথম ঘটনাটি ইতিমধ্যে সংঘটিত হয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব ৭২২ সালে এশিরিয়ানরা বনী ইসরাইলের একটি অংশকে জোরপূর্বক নির্বাসিত করে। নব্য এশিরিয়ান রাজা তৃতীয় তিগলাত ফিলিসার এবং পঞ্চম সালমেনসার ইসরাইলি সাম্রাজ্য দখল করে জেরুজালেম দখল করেন, যা ছিল দাউদ (আ.) এর গঠিত সাম্রাজ্যের পতন।

পরে কোরআনের আরেকটি আয়াতে বলা হয়েছে, “অতঃপর আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জন্য যুদ্ধের পালা ঘুরিয়ে বিজয় দিলাম, তোমাদের ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম এবং তোমাদের করলাম সংখ্যাগরিষ্ঠ।” 
 
এই আয়াতের আলোকে বোঝা যায়, ধ্বংসের পর বনী ইসরাইল পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসবে। ধারণা করা হয়, কয়েক হাজার বছরের মধ্যে বর্তমানে সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে ইসরাইল। অনেক তাফসীরবিদ মনে করেন, এটি দ্বিতীয় ফাসাদের পূর্ব প্রস্তুতি।

তবে আধুনিক মুফাসসিরদের মতে, কোরআনে বর্ণিত দ্বিতীয় বিপর্যয় এখনো সংঘটিত হয়নি। ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, কিয়ামতের আগে ইমাম মাহাদীর নেতৃত্বে মুসলিমরা জেরুজালেম জয় করবে এবং সেখানেই ঘটবে বনী ইসরাইলের উপর দ্বিতীয় বড় বিপর্যয়। বর্তমান বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ, বিশেষ করে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসন ও বর্বরতার প্রেক্ষিতে অনেকেই মনে করেন, কোরআনের সেই ভবিষ্যদ্বাণী এখন বাস্তবায়নের পথে।

পবিত্র কোরআনের আলোকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে বনী ইসরাইলের ফাসাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে যা ঘটছে, তা যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি — যেখানে ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা ও ভবিষ্যদ্বাণী একত্রে মিলিত হয়ে একটি ঐশী চক্রের চিত্র এঁকে চলেছে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ