শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ ।। ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ১১ জিলহজ ১৪৪৬


ঈদের জামাত থেকে গাজার জন্য দোয়া, ঐক্যের আহ্বান জানালেন প্রবাসীরা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়। শুক্রবার (৬ জুন) নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিশিগান, ভার্জিনিয়া, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়াসহ প্রায় সব রাজ্যের তিন হাজারেরও বেশি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের নামাজে গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের ডাক ওঠে। ইমামরা তাদের খুৎবায় ফিলিস্তিনে শহীদদের জন্য দোয়া করেন এবং মুসলিমদের মধ্যে পারস্পরিক সংহতি ও সহমর্মিতার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

নিউইয়র্ক সিটির টমাস এডিসন হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত বৃহৎ ঈদ জামাতে অংশ নেন মেয়র প্রার্থী যোহরান মামদানি। তিনি বলেন, “ত্যাগের আদর্শ ধারণ করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আমাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে।”

জামাতে অংশ নেন নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের স্পিকার ও অন্যান্য কাউন্সিলররা। ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ইমাম শামসী আলী। তারা সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে পরিচালিত নিউজার্সির আটলান্টিক সিটির আল হেরা মসজিদ, ইসলামিক সেন্টার অব আটলান্টিক সিটি ও মসজিদ আল তাকওয়ায় তিনটি পৃথক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামাতেই ছিল নারী মুসল্লিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা, যা নারী উপস্থিতির হার বাড়িয়েছে।

কুইন্স, ব্রঙ্কস ও ব্রুকলিনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মসজিদ—আল আমান মসজিদ, বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, বায়তুল জান্নাহ, পার্কচেস্টার জামে মসজিদেও ঈদের জামাতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।

ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা পশু কোরবানির কার্যক্রমে অংশ নেন। অনেকে খামার থেকে গরু-ছাগল এনে নিজে কোরবানি দেন, আবার কেউ সুপারশপ ও অনলাইন কসাই সার্ভিসের মাধ্যমে কোরবানি সম্পন্ন করেন। কমিউনিটি সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী মুসলমান এ বছর কোরবানি দিয়েছেন।

তবে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতির কঠোরতা মুসলিমদের ঈদ উদযাপনে কিছুটা ছাপ ফেলেছে। বাংলাদেশি খুচরা দোকানদারদের অনেকে জানিয়েছেন, এ বছর কেনাবেচা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

তবু নতুন প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রবাসী সমাজে আশাবাদের বার্তা দিয়েছে। কমিউনিটি নেতারা জানান, ঈদ জামাতে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি এবার ছিল চোখে পড়ার মতো, যা ভবিষ্যতের মুসলিম পরিচয় টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ইঙ্গিত।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ