শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ, পাকিস্তানের স্বাগত


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতাদেশ তুলে নিতে ভারতকে নির্দেশ দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক সালিশ আদালত (পিসিএ)। গত ৮ আগস্ট দেওয়া এই রায়ে আদালত স্পষ্ট করেছে— চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে কোনো বাঁধ বা জলবিদ্যুৎ স্থাপনা সিন্ধু অববাহিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোতে নির্মাণ করা যাবে না।

পাকিস্তান এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আদালত ভারতকে সিন্ধু নদের পানিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে এবং বাঁধ নির্মাণে মূল চুক্তির শর্ত মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত পেহেলগামে ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার পর। ওই হামলায় ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি পর্যটক নিহত হন। পাকিস্তানি কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ এর দায় স্বীকার করে। এর পরপরই ভারত একতরফাভাবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, যার ফলে পাকিস্তানের তিন নদী— সিন্ধু, চেনাব ও ঝিলামের পানিপ্রবাহ হ্রাস পায় এবং কৃষি খাত হুমকির মুখে পড়ে।

পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতে গেলে ৮ আগস্ট রায় দেন বিচারকরা। তারা বলেন, “চুক্তি অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোর প্রবাহ বাধাহীন রাখতে হবে। ভারত যদি বাঁধ নির্মাণ করে, তা অবশ্যই চুক্তির শর্ত মেনে হতে হবে।”

সিন্ধু পানি চুক্তি
১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান সিন্ধু পানি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এতে পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি নদী— ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রুর পানি ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয় ভারতকে, আর পশ্চিমাঞ্চলীয় তিন নদ— সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাবের অধিকাংশ পানি ব্যবহারের অধিকার পায় পাকিস্তান। চুক্তিতে একতরফাভাবে বাতিল বা স্থগিতের কোনো বিধান নেই, বরং বিরোধ নিষ্পত্তির সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নির্ধারিত আছে।

পাকিস্তানের সেচ ব্যবস্থা বিশ্বের বৃহত্তমগুলোর একটি, যা প্রায় সম্পূর্ণভাবে পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোর নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহের ওপর নির্ভরশীল। ফলে পানিপ্রবাহ হ্রাস দেশটির কৃষি, শহুরে পানি সরবরাহ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, আনাদোলু এজেন্সি

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ