ইসরায়েলের গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখলের পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এই বিবৃতি এসেছে ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা ধাপে ধাপে পুনর্দখলের পরিকল্পনা অনুমোদনের পর।
উত্তর কোরিয়ার মুখপাত্র বলেন, “এটি ইসরায়েলের গ্যাংস্টারসুলভ মানসিকতার স্পষ্ট উদাহরণ, যার উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করা।” তিনি গাজাকে ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, “উত্তর কোরিয়া ইসরায়েলের এই অপরাধমূলক দখলদারিত্বের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। এ পদক্ষেপ গাজার মানবিক সংকট আরও বাড়াবে এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
পিয়ংইয়ং ইসরায়েলের কাছে অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর অবৈধ সশস্ত্র হামলা বন্ধ করা এবং সম্পূর্ণভাবে গাজা থেকে সরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছে।
গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও প্রায় ১১ জন আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি—সম্ভাব্যভাবে প্রায় দুই লাখের কাছাকাছি।
অবিরাম হামলায় গাজা উপত্যকার অধিকাংশ এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রায় সব বাসিন্দাই গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একইসঙ্গে ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
সূত্র: টিআরটি গ্লোবাল
এসএকে/