শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্যের মায়ের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক মদিনায় তিন বছর ধরে আইসিইউতে থাকা এক বাংলাদেশি আলেমের করুণ কাহিনি আল্লামা আহমদ শফী রহ.: খণ্ড খণ্ড গল্প চামড়ায় দেওয়া লবণে রং মিশিয়ে তৈরি হতো বিট লবণ

মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল জাপানি পুলিশ ও কৌঁসুলিরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভুল অভিযোগে অভিযুক্ত করে দীর্ঘ সময় আটক রাখার ঘটনায় এক মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছে জাপানের পুলিশ ও কৌঁসুলিরা।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিজো আইসামা নামে ওই ব্যক্তি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ২০২০ সালের মার্চে তাকে এবং তার প্রতিষ্ঠানের আরও তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়— অবৈধভাবে বিদেশে স্প্রে ড্রায়ার মেশিন রপ্তানি করার। এই মেশিন তরলকে গুঁড়োতে পরিণত করতে সক্ষম এবং সামরিক কাজে ব্যবহারযোগ্য।

তবে আইসামার কোম্পানি ওহকাওয়ারা কাকোহকি জানায়, তাদের পণ্য রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তা সত্ত্বেও আইসামাকে আটক রাখা হয়।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যনালীর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে কারাগারেই মারা যান তিনি। মৃত্যুর পাঁচ মাস পর তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা বাতিল করা হয়।

আইসামা কারাবন্দি অবস্থায় ক্যানসার চিকিৎসার জন্য আটবার জামিন আবেদন করেছিলেন, কিন্তু একবারও তা মঞ্জুর হয়নি। চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া এবং অন্যায় আটক রাখার দায় স্বীকার করে পুলিশ ও কৌঁসুলিরা সম্প্রতি তার কবরে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার তার স্ত্রী ও ছেলেরা কবরস্থানে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়। তবে মৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী বলেন, “যারা বিনা অপরাধে তাকে বছরের পর বছর বন্দি রেখেছে, তাদের আমি ক্ষমা করতে পারি না।”

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আইসামার কোম্পানি টোকিও আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা করে। আদালত রায়ে জানায়, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ছিল অবৈধ। পাশাপাশি রাষ্ট্রকে কোম্পানিকে ১ দশমিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আইসামার পরিবার বলছে, তাকে বিনা দোষে আটক করার প্রকৃত কারণ এখনো অজানা, আর জড়িতদের যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত নগণ্য।

সূত্র: বিবিসি

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ