শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা ভাঙ্গায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  ‘আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে সিরাতের বাস্তবায়ন জরুরি’ খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আহ্বান খুরশিদ আলম কাসেমীর বাবার ইন্তেকাল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহাসচিবের শোক ‘অভিভাবকরা স্কুল বাদ দিয়ে কওমি মাদরাসার দিকে ঝুঁকছেন’ চান্দিনায় কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : মাওলানা বোরহান উদ্দিন   বিশ্বের ৪৫০ প্রভাবশালী ইহুদির ইসরায়েলের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আহ্বান মহেশখালীতে মহানবী (সাঃ)-কে অবমাননার অভিযোগে উত্তম কুমার গ্রেফতার

ব্যবসায়ী সাহাবিদের সাফল্যের মূলমন্ত্র


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ||

সাহাবিরা ছিলেন নক্ষত্র স্বরুপ। যেকোনো একজন সাহাবিকে অনুসরণ করলেও মুমিন সত্য সরল পথে চলতে পারবে। কারণ, সাহাবারা নবী (সাঃ)-এর সংস্পর্শে থেকে বহু গুণে গুণান্বিত ছিলেন। সাহাবিদের মধ্যে ব্যবসাকে যারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তাদের সিংহভাগই পেয়েছিলেন ঈর্ষণীয় সাফল্য। তারা শুধু দুনিয়াবি সফলতাই পাননি, বরং আখেরাতেও হবেন আল্লাহর প্রিয় বান্দা। তাদের এই ব্যবসায়িক সাফল্যের পেছনে কিছু গুণ ছিল, যা আজও অনুসরণযোগ্য:

১. ঈমানদারিতা ও তাকওয়া:  
তাদের সবচে বড় যে গুণটি ছিল সেটা হচ্ছে—তাকওয়া! আল্লাহ তায়ালার ভয়। তারা জানতেন, রিজিক আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই কখনো হারাম লেনদেন করতেন না। লাভের আশায় মিথ্যা বলা, ওজনে কম দেওয়া বা প্রতারণা করতেন না।

২. সততা ও আমানতদারি:  
সাহাবাদের অন্যতম গুণ ছিল সততা ও আমানতদারিতা। রাসূল (সা.) স্বয়ং "আল-আমীন" ছিলেন। সাহাবিরাও ব্যবসায় এই গুণের অনুসরণ করতেন। খালিফা আবু বকর (রা.), ওসমান (রা.), আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা.) ছিলেন অত্যন্ত বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী।

৩. উত্তম চরিত্র ও ভালো ব্যবহার:  
প্রত্যেক সাহাবিই ছিলেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। এই হোসনে আখলাক তারা নবী (সাঃ)-এর কাছ থেকেই লাভ করেছিলেন। গ্রাহকের সঙ্গে কোমল ব্যবহার, দামাদামিতে সহনশীলতা, সহজে বিক্রি করা—এসব তাদের ব্যবসার মূলনীতি ছিল।

৪. নিয়ত শুধরানো:  
সাহাবারা ব্যবসাকে শুধু উপার্জনের জন্য নয়, বরং মানুষকে উপকার দেওয়ার উদ্দেশ্যে করতেন। নিয়ত খাঁটি থাকত—আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। তাই প্রতি পদে পদে তারা আল্লাহর সাহায্য পেয়েছেন।

৫. সময়মতো দান ও খরচ:  
তাদের মধ্যে ছিল দানশীলতার মহান গুণ। আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা.) বিশাল ব্যবসায়ী ছিলেন, কিন্তু আল্লাহর পথে দান করতেন অকপটে। সাফল্যের সাথে সাথে দান করতেন বাড়তি দায়িত্ববোধ নিয়ে।

৬. ধৈর্য ও কষ্ট সহ্য করার মানসিকতা:  
সাহাবিরা ব্যবসার মন্দা, লোকসান বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা—সবকিছু ধৈর্য সহকারে মোকাবিলা করতেন। আর এ কারণে সাফল্যও তাদের পদচুম্বন করেছে। এই গুণটা বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যবসায়িদের মধ্যেই অনুপস্থিত। 

সাহাবিদের ব্যবসায়িক গুণগুলোর ভিত্তি ছিল ইসলামের নৈতিকতা ও আল্লাহভীতির শিক্ষা। তাই তাদের সাফল্য শুধু সম্পদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তা দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের মর্যাদা উন্নীত করেছে।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ