শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা ভাঙ্গায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  ‘আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে সিরাতের বাস্তবায়ন জরুরি’ খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আহ্বান খুরশিদ আলম কাসেমীর বাবার ইন্তেকাল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহাসচিবের শোক ‘অভিভাবকরা স্কুল বাদ দিয়ে কওমি মাদরাসার দিকে ঝুঁকছেন’ চান্দিনায় কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : মাওলানা বোরহান উদ্দিন   বিশ্বের ৪৫০ প্রভাবশালী ইহুদির ইসরায়েলের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আহ্বান মহেশখালীতে মহানবী (সাঃ)-কে অবমাননার অভিযোগে উত্তম কুমার গ্রেফতার

শিশুদের কৃমি সংক্রমণ — কারণ ও প্রতিকার  

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান  

বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুদের মধ্যে কৃমি একটি সাধারণ ও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি শিশুদের পুষ্টিহীনতা, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। সময়মতো চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে।

কৃমি সংক্রমণের কারণ:  
১. অপরিচ্ছন্নতা: শিশুরা মাটি, ধুলো কিংবা নোংরা জিনিসে খেলার সময় সহজেই কৃমির ডিম মুখে তুলতে পারে।  
২. জলবাহিত সংক্রমণ: অপরিষ্কার পানি পান বা সেই পানি দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ার ফলে কৃমি শরীরে প্রবেশ করতে পারে।  
৩. খাবারের মাধ্যমে: ধোয়া হয়নি বা সঠিকভাবে রান্না না হওয়া খাবার থেকে সংক্রমণ হয়।  
৪. পায়খানা ব্যবস্থার অভাব: উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ এবং তার সংস্পর্শে শিশুদের আসা কৃমি সংক্রমণ বাড়ায়।  
৫. নখ কামড়ানো: হাত না ধুয়ে খাওয়া ও নখ কামড়ানোর মাধ্যমে কৃমির ডিম শরীরে প্রবেশ করে।

প্রভাব:  
- পেটব্যথা, বমি, অরুচি  
- অপুষ্টি ও ওজন কমে যাওয়া  
- রক্তস্বল্পতা ও দুর্বলতা  
- মানসিক অস্থিরতা ও স্কুলে মনোযোগে ঘাটতি

প্রতিরোধ ও করণীয়:  ছয় মাস পর পর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো। হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা (বিশেষ করে খাবারের আগে ও টয়লেটের পর)। নিরাপদ পানি ব্যবহার ও রান্না করা খাবার খাওয়া। শিশুদের নখ ছোট রাখা ও পরিষ্কার থাকা্। স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন-এর মাধ্যমে কৃমি প্রতিরোধ করা যায়।

সঠিক সচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং নিয়মিত কৃমিনাশক গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের কৃমি সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুরা পাবে একটি সুস্থ-সবল ভবিষ্যৎ।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ