শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা ভাঙ্গায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  ‘আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে সিরাতের বাস্তবায়ন জরুরি’ খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আহ্বান খুরশিদ আলম কাসেমীর বাবার ইন্তেকাল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহাসচিবের শোক ‘অভিভাবকরা স্কুল বাদ দিয়ে কওমি মাদরাসার দিকে ঝুঁকছেন’ চান্দিনায় কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : মাওলানা বোরহান উদ্দিন   বিশ্বের ৪৫০ প্রভাবশালী ইহুদির ইসরায়েলের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আহ্বান মহেশখালীতে মহানবী (সাঃ)-কে অবমাননার অভিযোগে উত্তম কুমার গ্রেফতার

পানি কখন খাবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান 

পানি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানুষের শরীরের প্রায় ৬০-৭০% অংশই পানি দিয়ে গঠিত। তাই সঠিক সময়ে পানি পান না করলে তা স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অনিয়মিত পানি পানের ফলে ক্লান্তি, হজমের সমস্যা, কিডনি জটিলতা থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই জেনে নেওয়া জরুরি, কখন পানি পান করা সবচেয়ে উপকারী।

সঠিক সময়ে পানি পানের উপকারিতা

১. ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি

সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করা শরীর ডিটক্সে সাহায্য করে, হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক।

২. খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পানি

খাবারের আগে পানি খেলে হজম শক্তি বাড়ে ও অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।

৩. খাওয়ার অন্তত ৩০-৪০ মিনিট পরে পানি

খাওয়ার ঠিক পরেই পানি খেলে পাকস্থলির হজম রস পাতলা হয়ে যায়, যা হজমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই একটু সময় নিয়ে তারপর পানি পান করাই উত্তম।

৪. শরীরচর্চার আগে ও পরে পানি

ওয়ার্কআউটের আগে পানি পান শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং পরে পানি খাওয়া ক্লান্তি ও ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে।

৫. গরমে ও রোদে বাইরে যাওয়ার আগে ও পরে পানি

গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ঘাম ও লবণক্ষয়ের কারণে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। বাইরে যাওয়ার আগে এবং ফিরে এসে পানি পান শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখে।

৬. ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি

রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি রক্ত চলাচল ঠিক রাখে, হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা সহায়তা করে এবং হঠাৎ স্ট্রোকের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে পারে।

যখন পানি না খাওয়াই ভালো

খাবারের মাঝে বারবার পানি পান করা হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়া খুব ঠান্ডা পানি হজমের গতি কমিয়ে দেয় ও ঠান্ডাজনিত সমস্যার কারণ হতে পারে। 

পানি পান শুধু তৃষ্ণা মেটানোর বিষয় নয়, এটি একটি স্বাস্থ্য অভ্যাস। সঠিক সময়ে ও পরিমাণে পানি পান করলে শরীর থাকে সুস্থ, মন থাকে সতেজ। তাই পানি পানের সময়সূচি মেনে চলা উচিত, যেন আমরা পানির প্রকৃত উপকার পেতে পারি।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ