|| মুহিউদ্দীন মাআয ||
প্রতি বছর এমন সময় থেকে শীত আসতে শুরু আমাদের দেশে। শীতের দিনের নানা আয়োজন ও আনন্দঘন মুহূর্তের পাশাপাশি সতর্কও থাকা উচিত সকলের। একটু অসতর্ক হলেই বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির সম্মুখীন হতে হয়। তাই শীত আসার আগে বাসা-বাড়ির ফার্মেসিতে সাধারণ অসুস্থতার ওষুধগুলো সংগ্রহ করে রাখা উচিত।
এ বিষয়ে জার্মানের বিখ্যাত ফার্মাসিস্ট আলেকজান্ডার স্মিথ বলেন, শীত উপলক্ষে বাসা-বাড়িতে এ ওষুধগুলো রাখা জরুরি।
১. জ্বর ও শরীর ব্যাথার জন্য –
জ্বরের জন্য কার্যকরী ওষুধ: যেমন আইবুপ্রোফেন,প্যারাসিটামল এবং অ্যাসপিরিন রাখা যেতে পারে যা দ্বারা জ্বর কমানো এবং ব্যথা উপশম করা যায়।
থার্মোমিটার: যে কোনো মেডিসিন ক্যাবিনেটে থার্মোমিটার অপরিহার্য, বিশেষ করে শীতকালে।
২. গলা ব্যথা এবং কাশির জন্য-
লজেন্স: লজেন্স মুখ এবং গলায় আর্দ্রতা এনে দেয়। এতে লালা সৃষ্টি হয়। যা জ্বালাপোড়া, মিউকাস মেমব্রেনকে প্রশমিত করে।
ঔষধি চা: ঔষধি চা শ্লেষ্মা আলগা করতে, জ্বালা প্রশমিত করতে এবং শ্বাসনালীকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
৩. নাক বন্ধের জন্য-
ডিকনজেস্ট্যান্ট স্প্রে: ডিকনজেস্ট্যান্ট স্প্রে নাক বন্ধ রোধে ব্যাপক সাহায্য করে। তবে বেশি ব্যবহারের ফলে এই স্প্রেগুলিতে আসক্তির ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, এগুলি একাধারে সর্বোচ্চ ৭ দিন ব্যবহার করা উচিত।
ফার্মাসিস্ট স্মিথ বলেন, ঠান্ডা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুমে অন্যদের সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে হোম মেডিসিন ক্যাবিনেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং একটি FFP2 মাস্ক রাখা উচিত। সেইসাথে হজমের সমস্যার জন্য ওষুধ, ক্ষতের মলম, কোল্ড কম্প্রেশন এবং ব্যান্ডেজ রাখার পরামর্শ দেন।
৪. উপযুক্ত অবস্থান
বাড়ির মেডিসিন ক্যাবিনেটের উপযুক্ত জায়গা সম্পর্কে স্মিথ বলেন, সেটি একটি শীতল, শুষ্ক জায়গা হবে। সেটা ঘুমানোর রুম বা বেসমেন্ট হতে পারে। তাছাড়া বাড়িতে শিশু থাকলে, অবশ্যই তাদের নাগালের বাইরে হতে হবে।
এটাও মনে রাখা উচিত কাশির সিরাপ খোলার পর বেশিদিন ব্যবহার না করা উচিত। অতএব, ওষুধের পাত্রে খোলার তারিখ লেখে রাখা ভালো।
লেখক: শিক্ষার্থী ও তরুণ লেখক
এমএম/
                              
                          
                              
                          
                        
                              
                          