রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম

‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সে সম্পর্কে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নারী অধিকার আন্দোলন। সোমবার (২১ এপ্রিল) সংগঠনটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতির ওপর ভিত্তি করে নারী সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশ প্রণয়ন করেছে। সুপারিশকৃত এই রিপোর্টের কিছু অংশ ইতিবাচক হলেও কিছু বিষয় বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী সমাজের প্রত‍্যাশার সাথে সাংঘর্ষিক। এটাকে নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর বলেও উল্লেখ করে সংগঠনটি। 

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ এখনো CEDAW সনদের ধারা ২ ও ১৬ (১)গ, সংরক্ষিত রেখেছে; যেখানে বিবাহ, তালাকসহ পারিবারিক ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের পূর্ণ সমতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই কমিশন সেই সংরক্ষণ প্র‍ত‍্যহারের সুপারিশ করেছে, যা অপ্রয়োজনীয় এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান সূচক। বরং সিডও সনদে স্বাক্ষরকালে যেভাবে এই সংরক্ষণ রাখা হয়েছিল, সেটি বজায় রেখেই এর বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো উচিত ছিল।

নারী অধিকার আন্দোলন জানায়, এই সুপারিশে সংবিধানে পরিবর্তন এনে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চয়তাসহ অভিন্ন পারিবারিক আইন, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন, অভিভাবক ও প্রতিপাল‍্য আইন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন, ধর্ষন আইন, নাগরিকত্ব আইন, সাক্ষী সুরক্ষা আইনে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। আমরা মনে করছি, এইসব সুপারিশমালা কোরআন মাজিদের বিধানের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের ওপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। যৌন কর্মকে পেশা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, যা নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর। 

বিবৃতিতে বলা হয়, এজন‍্য নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সংস্কার সবার আগে জরুরি। বৃহত্তর নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে এমন নারীদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করে তারপর সংস্কার প্রস্তাব আনা দরকার ।

আমরা আরও লক্ষ্য করেছি যে, এই নারী সংস্কার কমিশনে মুষ্টিমেয় সমাজ বিচ্ছিন্ন নারী তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছে, যা সমাজের বৃহত্তর নারীদের কোনোভাবেই প্রতিনিধিত্ব করে না।

এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সুপারিশ হলো— দেশের মূলধারার নারীদের প্রতিনিধিত্বে একটি নতুন কমিশন গঠন করে এই প্রতিবেদনটি সংশোধন করা হোক, যাতে করে এটি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ