সুনামগঞ্জ জমিয়ত নেতা, বিশিষ্ট আলেম, মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে নেতৃবৃন্দ। গত ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ইষ্ট লন্ডন এলাকায় একটি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ইউকে জমিয়তের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইউকে জমিয়তের সভাপতি ডক্টর মাওলানা শুয়াইব আহমদ। ইউকে জমিয়তের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, ইউকে জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট মিডিয়া ভাষ্যকার মুফতি আবদুল মুনতাকিম,
জমিয়ত ইউকের সহ-সভাপতি হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ, সহ-সভাপতি হাফিজ হোসাইন আহমদ (বিশ্বনাথী), সহ-সভাপতি মাওলানা আশফাকুর রহমান,ইউকে জমিয়তের ট্রেজারার হাফিজ রশিদ আহমদ, লন্ডন মহানগর জমিয়তের সেক্রেটারি মুফতি সৈয়দ রিয়াজ আহমদ, ইউকে জমিয়তের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান, হাফিজ জিয়াউদ্দিন, মাওলানা মইনুদ্দীন খান,মাওলানা আব্দুল গফফার,ইউকে জমিয়তের উপদেষ্টা আলহাজ্ব খালিছ মিয়া, সহকারী প্রচার সম্পাদক হাফিজ মাওলানা আব্দুল হাই, নির্বাহী সদস্য মাওলানা সানাউর মিয়া ও মিডিয়া সেক্রেটারি আরিফ আহমদ,লন্ডন মহানগর জমিয়তের দায়িত্বশীল মাওলানা সৈয়দ মুমিন ও মাওলানা আব্দুল্লাহ ইউসুফসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ।
সভায় বক্তারা বলেন, মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরী একজন দায়িত্বশীল, কর্মবীর ও যোগ্যতাসম্পন্ন নিষ্ঠাবান আলেমে দ্বীন ছিলেন। তাঁর সাথে কারো কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল বলে কারো জানা নেই। এমন একজন নিরিহ, মুত্তাকী ও পরহেজগার মানুষের নির্মম ও নিষ্ঠুর ভাবে হত্যাকাণ্ড ও নদীতে তাঁর লাশ ভেসে ওঠার মতো করুণ ঘটনা সর্বস্তরের উলামা ও গণমানুষের হৃদয়ে দুঃখ ও কষ্টের এক দারুণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। যা মানুষ ভুলতে পারবেনা।শুধু সুনামগঞ্জ নয়, রাজধানী ঢাকা সহ দেশের সর্বত্র এমনকি প্রবাসেও তাঁর এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বক্তাগন বলেন অনতিবিলম্বে মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সরকার ও প্রশাসন এ হত্যাকাণ্ডের দায় কখনো এড়াতে পারেনা। অন্যথায় দেশ মগের মুল্লুকে পরিণত হয়ে যাবে। জানমালের নিরাপত্তা ও জুলুমের অবসান সরকারের উপর আরোপিত আবশ্যিক দায়িত্ব। সরকার ও প্রশাসন যদি দেশে সর্বজন শ্রদ্ধেয় উলামায়ে কেরামের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে এরচেয়ে বড় দুঃখের বিষয় আর কিছু হতে পারেনা। ইউকে জমিয়তের প্রতিবাদ সভায় বৃটেনের সর্বস্তরের উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয় যে মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর পাষান হৃদয়খুনিদের গ্রেফতারি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে উলামায়ে কেরাম ও জনগণ কঠিন আন্দোলন অব্যাহত রাখতে বাধ্য হবে।
উলামায়ে কেরাম প্রতিবাদ সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন দেশব্যাপী অশান্তি ও ব্যাপকভাবে আইন-শৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি ঘটানোর জন্য বৈরী শক্তির গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে যেসব ক্রিমিনাল গ্যাং নাশকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে, তাদের স্বরূপ উন্মোচন ও তাদের বিচারের আওতায় আনা সরকার, প্রশাসন ও সমাজের গুরু দায়িত্ব। সভা শেষে মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর দরজাবুলন্দী, শাহাদাতের উচ্চ মর্যাদা লাভ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের সবর ধৈর্যের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরএইচ/