সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ।। ২ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২০ জিলহজ ১৪৪৬


ইসরায়েলের বর্বরতায় আরব দেশগুলো কেন নীরব?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: রাকিবুল হাসান

মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া

মিডিয়াতে খবর এসেছে যে, ইরান সম্প্রতি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে তেল আবিব, জেরুজালেমসহ কয়েকটি শহর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নেতানিয়াহুর গো-দৌড় দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

কয়েক যুগ পর ইজরাইলে এমন একটি মিসাইল আক্রমণ দেখা গেল। ইরানের পাশাপাশি অন্যান্য আরব দেশ থেকেও যদি একই সময়ে মিসাইল নিক্ষেপ করা হতো, তাহলে ইসরায়েলে এক বিশাল বিপর্যয় সৃষ্টি হতো। এক পর্যায়ে ইসরায়েল নামক সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব সংকটে পড়তো। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও, আরব দেশগুলো এই ঘটনায় নির্বিকার। বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হয় তারা তাদের চৈতন্য হারিয়ে ফেলেছে। ইসরায়েলের আক্রমণের বিষয়টি তারা যেন সম্পূর্ণ ভুলে গেছে।

গাজা এখন ইসরায়েলের বর্বর আক্রমনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘসহ বিশ্ব মোড়লরা ইসরায়েলের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কোনো চৈতন্য নেই। তারা ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দূরের কথা, কিছু ক্ষেত্রে উল্টো তাদের উৎসাহিত করছে। মুসলিম চেতনা বোধ যেন তাদের মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। “কা জাছাদিন ওয়া হিদিন”-এর আহ্বান তাদের হৃদয় থেকে হারিয়ে গেছে। কুফরী শক্তির মনতুষ্টির প্রতিযোগিতায় তারা ব্যস্ত।

কিছুদিন পূর্বেই ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে ঘুরে গেছেন। আরব শাসকরা তাকে যে সংবর্ধনা ও উপঢৌকন দিয়েছে তা দেখে মনে হয়েছে ‘রায়ত’ ‘মনিব’-এর সম্পর্ক। আরব রমণীরা কেশ দুলিয়ে দুলিয়ে ট্রাম্প কে অভিবাদন জানিয়েছে। এটা জাহেলিয়াত যুগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। একটা সময় ছিল আরব নারীদের গৃহের বাইরে অবাধে চলাফেরা থেকে বিরত রাখত। এমনকি আরব শাসকরা তাদের ‘কুইন’দের হেরেমের বাইরে প্রদর্শনের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করত। সে আরবদের নৈতিক পদস্খলন কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা ভাবতেও কষ্ট লাগে।

লেখক : মুহতামিম, জামিয়া হুসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদরাসা, হরিরামপুর, মিরপুর ১, ঢাকা।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ