শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২১ শাওয়াল ১৪৪৬


ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠা ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র সম্ভব নয়: পীর সাহেব চরমোনাই


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগ্রহিত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির আলহাজ্ব মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, ইসলামের সুমহান আদর্শ ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। এজন্য সব ইসলামি দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে যশোর ঈদগাহ ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখার সভাপতি মিয়া মুহাম্মদ আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদ, ছাত্র- জনতার গণ বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ঘোষণা, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন এবং গণকল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পীর সাহেব চরমোনাই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমির হযরত মাওলানা হাফেজ আব্দুল আউয়াল, আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মাওলানা মো. শোয়াইব হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফারুক আহমাদ, ইসলামী আইনজীবী পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অ্যাডভোকেট নূর ইসলাম নুরুল, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও লেখক অধ্যক্ষ নাজমুল হুদা, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট বায়েজিদ হুসাইন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, শুধু নেতার পরিবর্তন করলে হবে না সাথে নীতির সংষ্কার করতে হবে। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে। ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সকল ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে চোখ কান খোলা রেখে আগামী নির্বাচনে হাতপাখাকে বিজয়ী করতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

ফিলিস্তিনে শাহাদাৎ বরণকারী নিস্পাপ শিশু, সাংবাদিক, সাধারণ জনতাসহ সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়।

এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিনিয়র সহ: সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল আলম খোকা, জয়েন্ট সেক্রেটারি এইচএম মহসিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হাফেজ আব্দুর রশিদ , সংগঠনিক সম্পাদক আশিক বিল্লাহ, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক এটিএম আখতারুজ্জামান তাজু, দপ্তর সম্পাদক মুফতি মঈন উদ্দিন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান, শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না,জাতীয় ওলামা মাশায়েখ ও আইম্মা পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল হালিম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবুল বাশার,ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সভাপতি মুফতি আবুজর বিন হাফিজ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সভাপতি মাওলানা ইমরান হোসাইন,

চৌগাছা থানা সভাপতি আনিচুর রহমান, বাঘারপাড়া থানার সভাপতি বেলাল হুসাইন, ঝিকরগাছা থানার সভাপতি আব্দুল কাদের, শার্শা থানার সভাপতি মাওলানা কামাল সহ প্রমুখ। দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনে বর্বর হামলা করে হাজার হাজার বেসামরিক নারী-পুরুষ-শিশু গণহত্যা করছে। পুরো গাজাকে একটি জেলখানায় পরিণত করে সেখানে ইতিহাসের জঘন্যতম নির্মমতা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা তাদের ন্যায্য দাবি। মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস অবরুদ্ধ করে রেখেছে। মুসলমানদের কেবলা মুসলমানদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।

দলের নায়েবে আমির হযরত মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তার দোসররা অর্জিত বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এখনো নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের সকল নেতাকর্মীদেরকে এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় কাজ করতে হবে।

সমাবেশে জুলাইয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং গত ১৬ বছরে সংঘটিত রাজনৈতিক, প্রশাসনিক হত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার, দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার দাবি জানানো হয়। বিশেষ অতিথি খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন বলেন, "গতানুগতিক নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পি আর) পদ্ধতি একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি চালু করলে জনগণের ভোটের ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ হবে এবং প্রত্যেক রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী তাদের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ অনুযায়ী আসন পাবে, যা জনগণের ইচ্ছাকে আরও সঠিকভাবে প্রতিফলিত করবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মানুষের জান মাল লুটপাট করবে না বরং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে"। বিগত ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ