বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান আজ বুধবার গুলশানের একটি বাসভবনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিক-এর সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিং-এ ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, সম্ভাব্য সংস্কার এবং আমাদের দলের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। একইসাথে তারা সংখ্যালঘুদের অধিকার, নারী অধিকার এবং শ্রমিকদের অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। আমরা সব বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করেছি।”
তিনি আরও জানান, “আমরা মার্কিন প্রতিনিধিকে অনুরোধ করেছি, বাংলাদেশের বর্তমান সংকটময় সময়ে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত ৩৭% ট্যারিফ পুনর্বিবেচনার জন্য। আশা করি তারা এ অনুরোধ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেবেন।”
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে ডা. শফিক বলেন, “আমরা চাই নির্বাচন রমযানের আগেই হোক, কারণ জুন মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নির্বাচন পেছানোর আশঙ্কা রয়েছে। সরকারপ্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ডিসেম্বর ২০২৫ অথবা জুন ২০২৬-এর মধ্যে নির্বাচন হতে পারে।”
গণতন্ত্র চর্চা এবং অতীতের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সবসময়ই ক্রেডিবল নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এরশাদ আমলের নির্বাচনের সময় অধ্যাপক গোলাম আযম কেয়ারটেকার সরকার প্রস্তাবনার মাধ্যমে ইলেকশন প্রক্রিয়াকে জীবন দিয়েছিলেন। দুঃখজনকভাবে তা পরে আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা বাদ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন পুরো জাতি আবার সেই ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছে।”
আওয়ামী লীগের শাসনামলে সহিংসতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাতি এখনও ট্রমাটাইজড। অসংখ্য মানুষ আহত, শহীদদের পরিবার এখনও কাঁদছে। তাই আমরা সঠিক বিচার ও শাস্তি দাবি করছি।”
এমএইচ/