বাসার ফ্লোরে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন খেলাফত মজলিসের সাবেক আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক।
গত রোববার (২৫ মে) তিনি বাসার ফ্লোরে পড়ে যান। এতে তাঁর হাঁটুর জয়েন্টের হাড় ভেঙে যায়।
খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল জলিল জানান, ৯৮ বছর বয়সী এই শীর্ষ রাজনীতিবিদ এখন পাবনা এ্যাসোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তাঁর সুস্থতার জন্য দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ইসহাক ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির উত্তরাঞ্চলে পাবনা জেলার মধুপুর গ্রামে (বর্তমানে বাংলাদেশের সুজানগর উপজেলায় অবস্থিত) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জমিয়ত উলামায়ে ইসলামে যোগ দিয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির পাবনা জেলার প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সহ-সভাপতি হওয়ার পরের বছরে তিনি সিরাজগঞ্জ হাজী আহমদ আলী আলিয়া মাদরাসা থেকে কামিল পাস করেন। এরপর ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিসে স্নাতকোত্তর শেষ করে তিনি কৃষি ও অসামরিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপ্ত করেন।
মোহাম্মদ ইসহাক পাবনা কামিল আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি মাওরানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যাত্রা শুরু করলে তিনি এতে যোগ দেন। সেখানে তিনি মহাসচিব ও নায়েবে আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে বিভক্তি ঘটে এবং দলটির একাংশ মোহাম্মদ ইসহাকের নেতৃত্বে খেলাফত মজলিস নামক আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করে। তিনি দলটির আমির হন। ২০২০ সালে তিনি ইসলামি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হয়েছিলেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও তাকে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত খেলাফত মজলিসের আমিরের দায়িত্ব পালন করার পর মাওলানা ইসহাক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি দলটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা হন।
এমএইচ/