খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ত্রৈমাসিক বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দু'জন বাংলাদেশ হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ভারত তার চিরাচরিত আধিপত্যবাদী আচরণ এখনো বন্ধ করেনি। বিনা উস্কানিতে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকের উপর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। ভারত মনে করছে নতুন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপকর্ম চালিয়ে পার পেয়ে যাবে। ফেনী সীমান্তে ২ জন হত্যা করে ভারত আবারো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এজন্য ভারতের কাছ থেকে জবাবদিহিতা ও ক্ষতিপূরণ আদায় করার জোর দাবি জানাচ্ছি। সীমান্ত হত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে আরো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সম্প্রতি গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলা ও উত্তরা বিমান দুর্ঘটনা পরবর্তি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীরা এসব পরিস্থিতির অপব্যবহারের সুযোগ নিচ্ছে। এইচ.এস.সি পরীক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা মধ্য রাতে নয় ঐদিন সন্ধ্যার মধ্যেই দেয়া যেত। ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন বাতিল করতে হবে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ৩টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক সিরাজুল হক, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, মুফতি আবদুল হামিদ, যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, ডা. এ এ তাওসিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অধ্যাপক ড. আহমদ আসলাম, মাওলানা সামছুজ্জামান চৌধুরী, মাস্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক মাওলানা এ এস এম খুরশীদ আলম, মাওলানা শেখ সালাহউদ্দিন, অধ্যাপক একেএম মাহবুব আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো: জহিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আবদুল করিম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট হাফেজ মাওলানা শায়খুল ইসলাম, উলামা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আলী হাসান উসামা, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ ড. মাহবুবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, ডা. আসাদুল্লাহ, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মুফতি আবদুল হক আমিনী, বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, জিল্লুর রহমান, মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মাওলানা সাইয়্যেদুর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আলহাজ্ব নূর হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন মোহন, মাওলানা সামসুদ্দিন, মাওলানা আহমদ বেলাল, সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা নেহাল আহমদ, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা হোসাইন নূরী চৌধুরী, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, মাওলানা নুরুল আমিন, গোলাম মোস্তফা, মাওলানা আবু সাঈদ, কর্ণেল (অব.) ডা: এমদাদুল হক, আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
এসএকে/