সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬


তিন ধর্ম সংস্কৃতির শহর স্পেনের টলেডো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম

আসাদুযযামান: টলেডো।মধ্য স্পেনের শহর । রাজধানী মাদ্রিদ থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার উত্তরে শহরটি অবস্থিত। ১৯৮৬ সালে শহরটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো।
সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ এক ঐতিহাসিক শহর টলেডো। বিভিন্ন সময়ে মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের আধিপত্য থাকায় একে তিন ধর্মের সংস্কৃতির শহর বলা হয়।

দেখার মতো শহরজুড়েই রয়েছে বহু নিদর্শন। সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল, এল গ্রেকো টেইল, সেন্ডা ইকোলজিকা, সান্তা ক্রুজ মিউজিয়াম, প্রাচীন মসজিদ ক্রিস্টো দে লা লজ, সিনানগোগা ডেল ট্র্যান্সিটো ও অ্যালকাজর প্রাসাদ উল্লেখযোগ্য।
লেকের ধারে স্বচ্ছ পানির ছায়ায় পাখির কিচিরমিচির শব্দ যে কাউকেই বিমোহিত করে। অনাবিল এ সৌন্দর্য দেখতে পুরো বিশ্ব থেকে পর্যটকরা ভিড় জমান । ব্রোঞ্জ সভ্যতার সময় এখানে বসতি গড়ে ওঠে। ১৫৬৩ সালের আগ পর্যন্ত স্পেনের রাজধানী ছিল এটি।

পুরনো ভবন ও দেয়ালে ঘেরা এ শহরের আঁকাবাঁকা রাস্তায় হাঁটলে মনে হবে এ যেন মধ্যযুগীয় কোনো সভ্যতায় দাঁড়িয়ে আছেন। আর সুদৃশ্য সেতুও পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।মধ্যযুগীয় সভ্যতার দৃষ্টিনন্দন সামগ্রী শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দোকানগুলোতে সাজানো।

এ শহরজুড়ে ছিল একসময় মুসলমানদের আধিপত্য। পরে তা চলে যায় খ্রিস্টান ও ইহুদির দখলে। তবু অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সংরক্ষিত আছে প্রাচীন বহু মুসলিম নিদর্শন। ক্রিস্টো দে লা লজ নামে একটি প্রাচীন মসজিদের স্থাপনা রয়েছে। ৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে এটি নির্মিত হয়েছিল।

দ্বাদশ শতকে শহরটি খ্রিস্টানদের অধিকারে আসার পর এর একাংশ গির্জায় রূপান্তর করা হয়। তবে মসজিদের অংশটি এখনও সংরক্ষিত আছে। টলেডো তার ঐতিহ্যবাহী ডামসেসেন মেটালওয়ার্ক, অ্যান্টিক-অনুপ্রাণিত তলোয়ার এবং হাতে তৈরি মিষ্টি আলুর ক্যান্ডিস ম্যারজিপ্যানের জন্য পরিচিত।

টলেডো ক্যাথিড্রাল শহরটির প্রাচীন ক্যাথলিক গির্জা। ১২২৬ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল এটি। এর অনুপম স্থাপত্যশৈলী আজও হাজারও পর্যটককে মুগ্ধ করে।

টলেডো শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে ‘টাগুস’ নদী। প্রায় ১ হাজার ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীর ৭১৬ কিলোমিটারই স্পেনে, ৪৭ কিলোমিটার স্পেন-পর্তুগাল সীমান্তে এবং ২৭৫ কিলোমিটার পর্তুগালে। শহর ঘুরে দেখার জন্য আছে ট্যুরিস্ট বাস আর ছোট ছোট ট্রেন।

মাত্র ৫ থেকে ১০ ইউরো খরচ করে এসব বাহনে চড়ে টলেডোর প্রাচীন স্থাপনাগুলো কম সময়েই ঘুরে দেখা যায়। শহরটির নয়নাভিরাম এ সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রতিদিন ভিড় জমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থী।

/এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ