শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের যেকোনো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন অটল বাংলাদেশের  গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে করিমগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল  ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠা ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র সম্ভব নয়: পীর সাহেব চরমোনাই এবার নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইল জামায়াতে ইসলামীও ৩ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন কবি আল্লামা মুহিব খান মার্চ ফর গাজা" সফল করুন: খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ ৫০ আসন টার্গেট করে এগোচ্ছে জমিয়ত বেতুয়া হাশেমিয়া দারুস সুন্নাহ মাদরাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন `মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করুন: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

রোহিঙ্গা গ্রামের শেষ চিহ্ন মুছতে এবার বুলডোজার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম, ডেস্ক: ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেশত্যাগে করানোর পর এবার রোহিঙ্গাদের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলতে বুলডোজার ব্যবহার করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে মিয়ানমার সরকার।

আজ  শুক্রবার কলোরাডো ভিত্তিক ডিজিটাল গ্লোব নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া এমনই একটি ছবি প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা এপি।

যেখানে দেখা যাচ্ছে, শতাধিক জনশূন্য গ্রাম মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এপি জানায়, গত আগস্টে রোহিঙ্গাদের এসব গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় সামরিক বাহিনী। যার ফলে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

তবে মিয়ানমার সরকারের দাবি তাঁরা বিধ্বস্ত এলাকাকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।

এসব গ্রামের  মধ্যে একটি হলো মিন হ্লুট। দেশ ত্যাগে বাধ্য হওয়া মিন  হ্লুটের বাসিন্দা যুবাইরিয়া নামের এক তরুণী জানান, তিনি কিছুদিন আগে তার ফেলে আসা গ্রামে গিয়েছিলেন। তিনি তাঁর গ্রামের  অবস্থা দেখে শোকে স্তব্ধ হয়ে যান। এপিকে ফোনের মাধ্যমে এসব জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘গত বছর গ্রামটি পুড়িয়ে দেওয়া হলেও কিছু অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন আর কিছুই নেই, এমনকি কোন গাছপালাও নেই। সবই শেষ। গুঁড়িয়ে দিয়েছে সবকিছু। চেনার মতো আর কিছু নেই। এখানকার পরিত্যক্ত বাড়িগুলোকে মাটির সঙ্গে সমান করে দেওয়া হয়েছে। সব স্মৃতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সব মুছে দিয়েছে।’

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মিয়ানমার বিশেষজ্ঞ রিচার্ড উইয়ার এই ছবিটি দেখে বলেন, ‘সেখানে ক্ষেত-খামার, গাছপালা বা চেনার মতো আর কিছুই নেই। সবই মুছে ফেলা হয়েছে এবং এটি খুবই উদ্বেগজনক। কেননা এসব ছিল অপরাধের আলামত।’

গত বছর আগস্টের শেষ দিকে সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে রোহিঙ্গারা। সরকারের হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৯ লাখের ওপর।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ