শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের যেকোনো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন অটল বাংলাদেশের  গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে করিমগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল  ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠা ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র সম্ভব নয়: পীর সাহেব চরমোনাই এবার নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইল জামায়াতে ইসলামীও ৩ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন কবি আল্লামা মুহিব খান মার্চ ফর গাজা" সফল করুন: খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ ৫০ আসন টার্গেট করে এগোচ্ছে জমিয়ত বেতুয়া হাশেমিয়া দারুস সুন্নাহ মাদরাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন `মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করুন: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

মিয়ানমারের রাখাইনে তিনটি বোমা বিস্ফোরণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তোর আশপাশে বিভিন্ন স্থানে তিনটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি বলে দেশটির পুলিশ এএফপিকে জানিয়েছে। শনিবার ভোর ৪টার দিকে উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বাড়িসহ আলাদা তিনটি জায়গায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দুই সপ্তাহের মধ্যে শুরু করার মিয়ানমারের ঘোষণার পর বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটলো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, 'তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে, আরও তিনটি বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এতে একজন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন তবে গুরুতর নয়।'

একটি বোমা স্টেট গভর্নমেন্ট সেক্রেটারির বাড়িতে বিস্ফোরিত হয়েছে। এছাড়া একটি অফিসের সামনে এবং রাস্তার উপরে বাকি দু'টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ঘটনার পর বেশ কিছু রাস্তা পুলিশ বন্ধ করে রেখেছে বলে এফএফপিকে জানিয়েছেন জাও জাও নামে স্থানীয় এক নাগরিক।

রাখাইনের বিভিন্ন অংশে সহিংসতার ঘটনা প্রায়ই ঘটলেও রাজধানীতে এমন ঘটনা বিরল।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে গত আগস্টে তল্লাশিচৌকিতে হামলার পর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা দলে দলে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, এ দফায় প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই রোহিঙ্গাদের প্রায় সবাই অভিযোগ করেছে, মিয়ানমারের সেনারা রাখাইনে অভিযানের নামে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে।

জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এ অভিযানকে জাতিগত নির্মূল বলে আখ্যায়িত করেছে। তবে মিয়ানমার বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ